চারজন থাই নাগরিক ও ১৯ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে থাইল্যান্ডের অভিবাসন পুলিশ। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বাং ক্লাম জেলা ও রাত্তাপুমের এশিয়ান হাইওয়ে থেকে তাঁদের গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। তবে বাংলাদেশিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ব্যাংকক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, থাইল্যান্ডের সামুত প্রাকান থেকে সঙ্খলা হয়ে কয়েকজন অবৈধ অভিবাসী মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন—এমন খবরের ভিত্তিতে তারা অভিযান শুরু করে।
ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ পাঁচটি গাড়ির পিছু নেয়। একপর্যায়ে এশিয়ান হাইওয়েতে তাঁদের থামাতে সক্ষম হয়। পরে এক নারীসহ চার থাই গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ফালাদা সুরিয়াচাত (৪৮), কিত্তিশাক মাংকর্ন (৪৯), রাংসান সুপান (২৭) ও সুনথর্ন কানংনিত (৪৩)। আরেকজন গাড়িচালক এ সময় পালিয়ে যান। এ সময় ওই পাঁচ গাড়ি থেকে ১৯ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চার গাড়িচালককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে থাই পুলিশ জানায়, সমচাই নামে এক ব্যক্তি তাঁদের ভাড়া করেছিলেন। সামুত প্রাকান থেকে অভিবাসীদের সংখলায় পৌঁছে দেওয়ার বিনিময়ে মাথাপিছু আড়াই হাজার বাথ পাবেন বলে চুক্তি হয়।
বাংলাদেশি অভিবাসীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা উড়োজাহাজে করে কম্বোডিয়ায় আসেন। সেখান থেকে গত বুধবার অবৈধ উপায়ে তাঁরা থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেন। তাঁরা একেকজন বাংলাদেশি সাড়ে ৩ লাখ টাকা দালালকে দেন। দালাল তাঁদের মালয়েশিয়ায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন।
গ্রেপ্তার গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশি অভিবাসীদের অবৈধ উপায়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশের মামলা প্রক্রিয়াধীন। তাঁদের বাং ক্লাম পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে অভিবাসন পুলিশ।