দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসছে তালেবান। এবার তাঁরা নারীদের বিশেষ মর্যাদা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এগুলো সব মিথ্যা এবং ভাঁওতাবাজি বলে মন্তব্য করেছেন নারী আন্দোলনের কর্মী মালালা ইউসুফজাই। সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের মতামত বিভাগে মঙ্গলবার প্রকাশিত তাঁর এক নিবন্ধে এসব কথা বলেন মালালা।
নিবন্ধে নিজের সংগ্রামের স্মৃতিচারণ করেন মালালা। ২০০৭ সালে তালেবান যখন তাঁদের এলাকা সোয়াত ভ্যালি দখল করে তখন তিনি স্কুলে যেতেন একরাশ ভয় নিয়ে। সঙ্গে থাকা বইগুলো গাঁয়ে চরানো শাল দিয়ে ঢেকে রাখতেন। তবুও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেননি। ৫ বছর পর তাঁকে মেরে ফেলার জন্য হামলা করা হয়। কিন্তু তিনি বেঁচে যান। এখন স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলছেন। নারীদের মুক্তির স্বপ্ন।
গত ২০ বছর আফগানিস্তানে তালেবানের কর্তৃত্ব না থাকায় নারীরা কিছুটা শ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেন মালালা। কিন্তু তাঁরা অদূর ভবিষ্যতের যে স্বপ্ন দেখছিলেন সেগুলো অচিরেই ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারে। এ নারী আন্দোলনকর্মী বলেন, ‘তালেবান আফগান দখলের কয়েক দিনের মধ্যেই আমার কাছে খবর এসেছে অনেক নারী শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিতে হচ্ছে। অনেকেই তাঁদের কর্মস্থল থেকে বিতাড়িত হয়েছেন।’
তালেবানরা প্রতিশ্রুতি রাখবে না উল্লেখ করে মালালা জানান, আগের বার তাঁরা যেভাবে দেশ চালিয়েছিল এবারও তাঁরা সেভাবেই চালাবে। কেননা তাঁদের উগ্রবাদী আদর্শের কোনো পরিবর্তন এখনো হয়নি। তাই আফগান বোনদের জন্য ভয় হচ্ছে। তাঁরা এখন আর স্বাধীনভাবে কিছু করার সুযোগ পাবে না।