পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। দেশটির দুর্যোগবিষয়ক কর্মকর্তারা আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে আরও বেশি এলাকায় বন্যার বিস্তার ঘটতে পারে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
থাইল্যান্ড সরকারের দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগের কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই বন্যায় অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন এবং দেশের ১৩টি প্রদেশে অন্তত ৩০ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উল্লেখ্য, দেশটিতে বিগত ১০ দিন ধরে এই বন্যা চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১০ জন মারা গেছেন ভূমিধসের কারণে। এই ১০ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন পর্যটকও ছিলেন। তবে তাঁরা সংখ্যায় কতজন সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি থাই সরকার। উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের বিখ্যাত পর্যটন এলাকা ফুকেটে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
থাই সরকারের দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বের অন্তত ৩১টি প্রদেশ আগামী বৃহস্পতিবার মধ্যে সম্ভাব্য আকস্মিক বন্যার মুখোমুখি হতে পারে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগ স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে আবহাওয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এবং উদ্ধারকারী দল ও সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে, থাইল্যান্ডের নাখোন রাতচাসিমার পাক চোং জেলায় নির্মাণাধীন একটি উচ্চগতির ট্রেন টানেলে মাটি ধসে পড়ার কারণে আজ সোমবার দুই চীনা নাগরিক এবং মিয়ানমারের এক নাগরিকসহ আরও তিন শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডে বার্ষিক মৌসুমি বৃষ্টিপাতের অভিজ্ঞতা থাকলেও মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তীব্র আবহাওয়ার ধরন ধ্বংসাত্মক বন্যাকে আরও বেশি আশঙ্কাজনক করে তুলতে পারে।