হোম > বিশ্ব > এশিয়া

আগের সরকার ‘আর্থিক সংকটের তথ্য’ ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল: রনিল

শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, ‘পূর্ববর্তী প্রশাসন দেশটির ‘আর্থিক সংকটের তথ্য’ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। গোতাবায়া সরকার সত্য বলেনি। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে গেছে, এই সত্য সঠিক সময়ে জানায়নি। সরকারের উচিত ছিল আগেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে যাওয়া।’ 

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে রনিল বিক্রমাসিংহে এসব কথা বলেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার শ্রীলঙ্কার প্রশাসনিক রাজধানী শ্রী জয়াবর্ধনেপুরা কোট্টে পার্লামেন্ট থেকে তিনি এ সাক্ষাৎকার দেন। শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নেওয়ার পর রনিল বিক্রমাসিংহে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেন।

সিএনএনের সাক্ষাৎকারে রনিল বিক্রমাসিংহে জানিয়েছেন, তিনি সাধারণ মানুষের কষ্ট ও ভোগান্তি অনুভব করছেন। চেষ্টা করছেন সংকট থেকে দেশকে টেনে তোলার। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘পাঁচ-দশ বছরের প্রয়োজন হবে না। আগামী বছরের শেষ নাগাদ পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে।’ অর্থনীতির এই ভঙ্গুর দশা কাটিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে একটি কার্যকর অর্থনীতি গড়ে উঠবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। 

নজিরবিহীন গণবিক্ষোভের জেরে গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কা থেকে পলিয়ে মালদ্বীপে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ারা রাজাপক্ষে। পরে সেখান থেকে তিনি সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নেন এবং সেখান থেকেই ই-মেইলে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করে যান। 

রনিল বিক্রমাসিংহে সিএনএনকে বলেছেন, গোতাবায়া এখন সিঙ্গাপুরে আছেন নাকি অন্য কোথাও আছেন, তা তিনি জানেন না। 

আগামীকাল বুধবার শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সম্ভাব্য তিনজন প্রার্থীর সঙ্গে রনিলও সেই নির্বাচনে লড়বেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট থেকে স্থায়ী প্রেসিডেন্ট হতে আশাবাদী। রনিল বিক্রমাসিংহে ষষ্ঠবারের মতো শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক দল পডুজানা পেরামুনার নেতা। 

শ্রীলঙ্কায় গণবিক্ষোভ ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে। বিক্ষোভকারীরা রাজপথ থেকে উঠে এসে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন দখল করে ফেলছিল। সিএনএনকে রনিল বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা তাঁর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং বাড়িটি এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে অনেক কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব নয়। তাঁর অন্তত ৪ হাজার বই পুড়ে গেছে, যার মধ্যে শতবর্ষের পুরোনো বই ছিল। একটি ১২৫ বছরের পুরোনো পিয়ানো পুড়ে গেছে। 

কেন প্রেসিডেন্ট হতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে রনিল বলেন, ‘আমি শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে এসেছি। আমি চাই না শ্রীলঙ্কায় এখন যা ঘটছে তা দীর্ঘায়িত হোক। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে, তা আর অন্য কারও সঙ্গে না ঘটুক।’ 

রনিল বিক্রমাসিংহে জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, আপনারা সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে বাধা দেবেন না। 

এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা (পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে) অস্ত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছি। তারা কয়েক জায়গায় হামলার শিকার হয়েছে, তার পরও আমরা তাদের অস্ত্র না চালানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করার নির্দেশ দিয়েছি।’

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টাকে প্রতিহতের ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার

তাইওয়ানে মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে ছুরি হামলা, নিহত ৩

জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানি

দেশের টাকমাথার লোকদের বাঁচানোর লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহরে বোমা ফেলল থাইল্যান্ড

ক্রিপটো চুরি করে এই বছর উত্তর কোরিয়ার আয় ২.২ বিলিয়ন ডলার

বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও ধর্মীয় বক্তাদের দমনে কঠোর হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

তাইওয়ানে বিপুল অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন, নিজের বিপদ ডেকে আনছে যুক্তরাষ্ট্র—হুমকি চীনের

জান্তার কাছে এবার মায়ের বেঁচে থাকার প্রমাণ চাইলেন সু চিপুত্র

বন্ডাই বিচে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে প্রাণ হারান এক বৃদ্ধ দম্পতিও!