চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই বালুঝড় বইছে। এই বালুঝড় আগামীকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত বেইজিংয়ের বাইরে আরও বেশ কয়েকটি প্রদেশে বইতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন দেশটির আবহাওয়াবিদেরা। এ সময় ঘরের বাইরে বের হওয়া নাগরিকেরা শ্বাসকষ্টে পড়তে পারেন বলেও সতর্ক করেছেন তাঁরা। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেইজিংয়ে বায়ুদূষণ তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রায় প্রতিদিনই অমৌসুমি বালুঝড় বইতে দেখা যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বালুঝড়ের জন্য নীল আবহাওয়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চীনে চার ধরনের আবহাওয়া সতর্কতা জারি করতে দেখা যায়। সবচেয়ে খারাপ আবহাওয়ার জন্য লাল সতর্কতা এবং তুলনামূলক কম খারাপের জন্য নীল সতর্কতা জারি করা হয়।
বেইজিং মিউনিসিপ্যাল ইকোলজিক্যাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মনিটরিং সেন্টার জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকালে ধোঁয়াশা ও কুয়াশাচ্ছন্ন ধূসর মেঘ বেইজিংয়ের আকাশকে ঢেকে ফেলেছে। এটি বায়ুদূষণের সূচকে মারাত্মক দূষণকে নির্দেশ করে।
বায়ুদূষণ নিয়ে কাজ করা সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মতে, বেইজিংয়ের বাতাসে সূক্ষ্ম কণার ঘনত্ব বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক বায়ু মানের নির্দেশিকার ৪৬ দশমিক ২ গুণ বেশি।
এদিকে বেইজিংয়ের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামীকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত শানসি, হেবেই, শানডং, জিয়ানঝু, আনহুই, হেনান, হুবেই ও সাংহাইসহ অন্তত ১২টি প্রদেশে বালুঝড় বয়ে যেতে পারে।
চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে ‘বালুঝড়’ একটি আলোচিত (ট্রেন্ডিং) বিষয়ে রূপ নিয়েছে। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, কেন ঘুম থেকে উঠে ছুটির নোটিশ দেখি না! আজও কি ধুলোবালির মধ্যে কাজে যেত হবে?
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিং গোবি মরুভূমির কাছাকাছি হওয়ায় মার্চ ও এপ্রিল মাসে নিয়মিত বালুঝড় হয়।
বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, উত্তর চীন এবং প্রতিবেশী মঙ্গোলিয়ার মরুভূমিতে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া ও বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার কারণে বালুঝড় অনেক বেড়েছে। ১৯৬০ সালের তুলনায় এখন চার গুণ বেশি বালুঝড় হয়।