অনলাইন ডেস্ক
ড্রোন এবং ড্রোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিক্রি বন্ধ করতে যাচ্ছে চীন। জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থের প্রশ্ন তুলে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছে। বেইজিংয়ের তরফ থেকে এ ঘোষণা এমন এক সময়ে এল, যখন পশ্চিমা বিশ্ব ক্রমাগত অভিযোগ করছে, চীন সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে রাশিয়াকে সহায়তা করছে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুসারে এখন থেকে কোনো ব্যবসায়ী যদি ড্রোন, ড্রোনের ইঞ্জিন, লেজার, ইমেজিং সিস্টেম, যোগাযোগ যন্ত্রাংশ, রাডার এবং অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম বিক্রি করতে চান, তবে তাঁকে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অজ্ঞাত এক মুখপাত্র অনলাইন বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নির্দেশনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এমন সব বেসামরিক ড্রোন সামরিক উদ্দেশ্যে রপ্তানি নিষিদ্ধ।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এবার ড্রোন নিয়ন্ত্রণের নিষেধাজ্ঞা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা উদ্যোগ বাস্তবায়ন এবং বিশ্ব শান্তি বজায় রাখার জন্য তার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপক।’
ড্রোন আধুনিক যুদ্ধে ক্রমবর্ধমান হারে নির্ধারক ভূমিকা পালন করতে শুরু করেছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশই চলমান যুদ্ধে ব্যাপক হারে সামরিক ড্রোন ব্যবহার করছে। যুদ্ধ খাতের ড্রোন ছাড়াও সামরিক অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও ড্রোনের সম্ভাবনাসহ বেসামরিক বিভিন্ন কাজে ড্রোন ব্যবহারের বিষয়টি দিনে দিনে বাড়ছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে সিএনএন প্রমাণ পেয়েছিল যে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী একটি চীন নির্মিত ড্রোন ভূপাতিত করেছে, যে ড্রোনটি রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করেছিল। পরে ড্রোনটির নির্মাতা মুগিন লিমিটেড জানিয়েছিল, তারাই ড্রোনটির নির্মাতা। তবে তারা সরাসরি রাশিয়ার কাছে ড্রোন বিক্রি করেনি। তার পরও রাশিয়া সেই ড্রোন ইউক্রেনে ব্যবহার করায় প্রতিষ্ঠানটি দুঃখ প্রকাশ করে।