ঢাকা: চীনকে ম্যালেরিয়ামুক্ত ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রায় ৭০ বছর ধরে চলমান ধারাবাহিক প্রচেষ্টার স্বীকৃতি অবশেষে পেল দেশটি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৪০-এর দশকে চীনে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ কোটি। এরপর থেকেই ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধারাবাহিক তৎপরতা শুরু করে চীন সরকার এবং এর সাফল্যও আসতে থাকে। ২০১৭ সাল থেকে চীনে আর কেউ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়নি।
চীনের এই অর্জনকে ‘কষ্টার্জিত সাফল্য’ উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, দশকের পর দশক ধরে পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপের ফল এই সাফল্য।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) জ্যেষ্ঠ সদস্য ও দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সিসিপি এবং চীন সরকার সব সময়ই জনগণের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও উন্নতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
স্ত্রী-অ্যানোফিলিস মশার কামড়ের মাধ্যমে সংক্রামিত হয় ম্যালেরিয়া। ম্যালেরিয়ার পরজীবী লোহিত রক্তকণিকার মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে, ফলে রোগীর শরীরে রক্তস্বল্পতার লক্ষণ দেখা যায়। অন্যান্য সাধারণ লক্ষণ হলো কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, শীত শীত ভাব এবং বমি-বমি ভাব হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা অর্জন করা চীন বর্তমানে বিশ্বের ৪০তম ম্যালেরিয়ামুক্ত দেশ। ২০১৯ সালে আলজেরিয়া ও আর্জেন্টিনাকেও ম্যালেরিয়ামুক্ত ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।