অনলাইন ডেস্ক
তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফরের কড়া প্রতিক্রিয়া হিসেবে কঠোর বার্তা দিতেই এই মহড়া। এতে চীনের নৌ ও বিমানবাহিনী অংশগ্রহণ করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। সেই সময়েই চীন তাঁর যুক্তরাষ্ট্র সফরের তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। এমনকি কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় দেশটি এবার তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করল।
আজ শনিবার শুরু হওয়া এই সামরিক মহড়াকে তাইওয়ান চীনের যুদ্ধংদেহী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছে। দেশটি চীনের সামরিক মহড়ার বিপরীতে তাদের নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রেখেছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলসি) ইস্টার্ন থিয়েটার এই মহড়া পরিচালনা করছে। চীনের সেনাবাহিনীর এই থিয়েটার দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ানসংলগ্ন এলাকা তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে নিয়োজিত। আজ শনিবার ইস্টার্ন কমান্ডের অধীনে চীনের নৌ ও বিমানবাহিনী এই মহড়ায় অংশ নেয়। ইস্টার্ন কমান্ড জানিয়েছে, মূলত আকাশ ও সমুদ্রসীমা দখলের পর তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, সে বিষয়ে আন্তবাহিনী সমন্বয়ের লক্ষ্যে এই মহড়া চালানো হচ্ছে।
পিপলস লিবারেশন আর্মির এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী এবং তাদের বিদেশি মিত্রদের উসকানির বিরুদ্ধে এই মহড়া একটি কড়া হুঁশিয়ারি।’
তাইওয়ানকে নিজের ঐতিহাসিক অংশ বলে দাবি করে চীন। লাই নিউইয়র্ক অবতরণ করার পরপরই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দেয়। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ‘তাইওয়ানের কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদীর’ সফরের বিরোধিতা করে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘লাই অযৌক্তিকভাবে তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী অবস্থান মেনে চলেন। তিনি বরাবরই এ নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাইওয়ান হলো চীনের আগ্রহেরও মূলে। বিভিন্ন ঘটনায় এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে তাইওয়ানকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতায় ‘স্বাধীনতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর তাইওয়ানের নির্ভরশীলতা’ দায়ী।
লাই স্বাধীনতার বিষয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইঙ্গওয়েনের চেয়ে তুলনামূলক বেশি স্পষ্টভাষী। তিনি তাইওয়ানকে চীনের অংশ মানতে নারাজ। তাই বেইজিং তাঁর প্রতি বৈরী ভাব পোষণ করে।