মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে আরও চারটি নতুন মামলা করা হয়েছে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্ডালের একটি আদালতে মামলাগুলো করা হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। এদিকে সংঘাতপূর্ণ দেশটিতে দ্বন্দ্ব মান পক্ষগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
নতুন এই মামলাগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সু চির আইনজীবীরা। শুধু জানা গেছে, সেগুলো দুর্নীতিসংক্রান্ত এবং এর মধ্যে দুটিতে সু চি সরকারের সাবেক মন্ত্রী মিন থুকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। সু চির আইনজীবী মিন মিন সো গতকাল সোমবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছেন।
মিন মিন সো বলেন, ‘মামলাগুলো দুর্নীতিসংক্রান্ত। আমরা জানি না তারা কেন মামলাগুলো করল? অথবা সুনির্দিষ্ট কারণই বা কী? আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখব।’
নতুন মামলার ফলে সু চিকে দেশটির তিনটি ভিন্ন শহরের আদালতের মোকাবিলা করতে হবে।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হন সু চি। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রেডিও আমদানি ও সংরক্ষণ এবং করোনাভাইরাস প্রটোকল ভাঙার অভিযোগ আনা হয়।
এ ছাড়া ইয়াঙ্গুনের একটি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ভাঙারও অভিযোগ আনা হয়। এ অপরাধ প্রমাণিত হলে তাঁর সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সাজা হতে পারে।
তবে সবগুলো অভিযোগই মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবীরা।
এদিকে, নতুন করে আনা অভিযোগের বিষয়ে মুখ খোলেনি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র শুধু বলেছেন, স্টেট কাউন্সেলর পদটি তৈরির সময় সু চি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তবে নতুন মামলার মধ্যে এই অভিযোগ রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।