অনলাইন ডেস্ক
দুই বছর আগে পূর্ব লাদাখের প্যানগং লেক এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত ও চীনের সশস্ত্র বাহিনীর সৈন্যরা। এরপর ওই এলাকায় প্রবল উত্তেজনার মধ্যেই দুই পক্ষ সেনাসংখ্যা বাড়াতে থাকে। কোনো পক্ষই অন্য পক্ষকে ছাড় দেয়নি। তারপর থেকে সেখানকার উত্তেজনা প্রশমনে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। অবশেষে সমাধানের একটি পথ খুলেছে বলেই আশা করছেন বিশ্লেষকেরা। এবং এর মধ্যে দিয়েই দুই দেশের অর্থনীতিতে সূচিত হতে পারে নতুন গতি।
সম্প্রতি ভারত ও চীনের সীমান্ত এলাকার পশ্চিম সেক্টরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল-এলএসি) বরাবর গোগরা-হটস্প্রিংস এলাকা থেকে এরই মধ্যে সেনা সরিয়ে নিয়েছে চীন ও ভারত। দুই দেশের এমন পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ভারত-চীন সম্প্রীতি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে সংবাদমাধ্যম এশিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ এমকে ভদ্রকুমার।
নিজেদের স্বার্থেই দেশ দুটি সমঝোতা করে চলতে চাচ্ছে। চীন চাইছে তাইওয়ান ইস্যুতে ভারতের মতো নিকট শক্তিধর রাষ্ট্রকে পথের কাঁটা না বানাতে। আবার ভারতের জন্যও সময়টা পরিবর্তিত বিশ্বরাজনীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার। বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোকে রাশিয়া এবং চীনের বিরুদ্ধে এক জোট করতে চাইছে পশ্চিমারা। তবে ভারত চাইছে এই মেরুকরণ থেকে বের হয়ে এসে নিজস্ব একটি পরিচয় এবং বলয় গঠন করতে।
তাই অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও বেগবান করতে দুই দেশই, চাইছে কেউ কাউকে বাধা না দিতে। অর্থনীতিক জোট ব্রিকসকে কাজে লাগিয়ে এ কার্যক্রম চালাতে চাইছে দেশ দুটি।
পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যতম দুই জ্বালানিখেকো দেশ চীন-ভারত। রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থাকায় দেশটি তুলনামূলক কম মূল্যেই জ্বালানি সরবরাহ করছে এই দেশ দুটোকে। এর বাইরেও সামরিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে চায় দুই দেশই। আর এ ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব কোনো সমাধান হতে পারে না। তাই আপাতত উভয় দেশই উভয় দেশকে সমঝে চলার নীতি নিয়েছে। ফলে লাদাখ থেকে সৈন্য অপসারণের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে চীন-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।