অনলাইন ডেস্ক
মহামারি করোনার পর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে চীন এ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫ শতাংশের আশপাশে রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা খাতের ব্যয় গত বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বাড়াবে বলে জানিয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বলেছে, আজ রোববার চীনের আইনসভার বার্ষিক সমাবেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব ঘোষণা দিয়েছে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস (এনপিসি)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং প্রায় ৩ হাজার প্রতিনিধির সামনে সরকারের কর্মপ্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, চলতি বছরের খসড়া সামরিক বাজেট ৭ দশমিক ২ শতাংশ বাড়িয়ে ১ দশমিক ৫৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (২২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার) রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
লির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ জোরদার করা, কৌশলগত দিক নির্দেশনা তৈরি করা ও যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সামরিক শক্তি বাড়ানো উদ্দেশ্যে প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো হয়েছে।
টানা তিন বছর ধরে সামরিক খাতে বাজেট বাড়াচ্ছে চীন। গত বছরেও ৭ দশমিক ১ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়েছিল।
এনপিসি সভা হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক রাজনৈতিক সভা। সেখানে চীনের শীর্ষ রাজনৈতিক উপদেষ্টারা অংশ নেন।
গত বছরের অক্টোবরে তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সি চিনপিং। তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটিই তাঁর প্রথম এনপিসি সম্মেলন।
এনপিসি সম্মেলন আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট দলের নতুন অর্থনৈতিক দলের সদস্যদেরও নাম প্রকাশ করা হবে এই সম্মেলনে।
সম্মেলনে লি কেকিয়াং বলেছেন, শূন্য কোভিড নীতি থেকে বের হয়ে আসার পর চীনের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। গত বছর দেশটির অর্থনীতিতে ১ কোটি ২০ লাখ শহুরে চাকরি যোগ হয়েছে। এ ছাড়া বেকারত্বের হার কমে সাড়ে ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।