অনলাইন ডেস্ক
চীনের দক্ষিণ-পূর্ব চাংশা নগরীতে গত শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ধসে পড়ে ছয়তলাবিশিষ্ট একটি আবাসিক ভবন। এ ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫৩ জন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১০ জনকে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবনধসের ছয় দিন পর এক নারীকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওই নারীকে জীবিত উদ্ধার করে দমকল বাহিনী। উদ্ধারের সময় ওই নারীর জ্ঞান ছিল।
চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার ২১ বছর বয়সী ওই নারী বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় ভবন কেঁপে ওঠে। তিনি চতুর্থ তলা থেকে পড়ে গেলেও দেয়াল পুরোপুরি ভেঙে পড়েনি এবং তাঁর মাথার ওপরে একটি ত্রিভুজ তৈরি হয়েছিল। একটি বোতলের সামান্য পানি খেয়েই বেঁচে ছিলেন তিনি। শরীর উষ্ণ রাখতে জড়িয়ে ছিলেন চাদরে। ভবনধসের পরই তাঁর মোবাইলের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু তারিখ ও সময় জানার জন্য তিনি মোবাইল ব্যবহার করেন। তাঁকে উদ্ধারের সময়ও তাঁর ফোন চালু ছিল।
উদ্ধার নারী বলেন, ‘আমি যখন বুঝতে পেরেছি উদ্ধারকারীরা কাছাকাছি চলে এসেছে, তখন আমি বারবার দেয়ালে শব্দ করতে থাকি।’
ওই নারী ছাড়াও অন্য এক নারীকে ভবনধসের ৮৮ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তিনিও সামান্য পানি ও নিজেকে উষ্ণ রাখার মাধ্যমে বেঁচে ছিলেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল অবকাঠামো, নিরাপত্তা অব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতির কারণেই ভবনধসের মতো ঘটনা ঘটছে। ভবনধসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চারজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। আর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে মিথ্যা তথ্যের অভিযোগ।