অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা: ২০১৯ সালে সরকারবিরোধী মিছিলে অংশ নেওয়ায় হংকংয়ের মিডিয়া মোগল এবং স্পষ্টবাদী গণতন্ত্রপন্থী কর্মী জিমি লাইয়ের সাজা আরও ১৪ মাস বাড়ানো হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে এ রায় দেওয়া হয়। আরেকটি রায়ে চলতি বছরের শুরু থেকে তিনি ১৪ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এ দুই রায় মিলে ৭৩ বছর বয়সী লাইকে আরও ২০ মাস কারাগারে থাকতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
হংকংয়ের রাজনৈতিক স্বাধীনতা হ্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছিল। ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর হাজার হাজার লোকের প্রতিবাদে যোগ দিতে জিমি লাইও রাস্তায় নামেন। এতে লাইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অননুমোদিত সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য লোকজনকে প্ররোচিত করার অভিযোগ আনে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যারি লাম সরকার।
গণতন্ত্রপন্থী ট্যাবলয়েড দ্য অ্যাপল ডেইলির প্রতিষ্ঠাতা জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযোগটি হচ্ছে—হংকংয়ের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য বিদেশি শক্তির সঙ্গে জড়িত জিমি লাই। গত বছর আরোপ করা এই অভিযোগটি জাতীয় সুরক্ষা আইনের আওতায় তদন্ত চলছে বলে উল্লেখ করেছে লন্ডনের ট্যাবলয়েড ইভিনিং স্টান্ডার্ড।
ব্রিটেনের হাত থেকে মুক্ত হয়ে চীনের নিয়ন্ত্রণে সমর্পিত হওয়ার বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালের পর থেকে অসংখ্যবার রাস্তায় নেমেছেন লাই। এসব আন্দোলনে অনেককে গ্রেপ্তার করেছে সরকার। ২০১৪ সালের বিক্ষোভ চলাকালীন শিক্ষার্থী নেতা জোশুয়া ওয়াং সহ শহরের বেশির ভাগ গণতন্ত্র সমর্থককে গ্রেপ্তার ও অভিযুক্ত করেছে হংকং কর্তৃপক্ষ। বেশ কয়েকজন বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন একটি বিবৃতিতে হংকং কর্তৃপক্ষকে 'নিছক নির্বাচনের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য বা ভিন্ন মত প্রকাশের জন্য' মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বেইজিংপন্থী আইন প্রণেতাদের অধীনে থাকা হংকং আইনসভা একটি বিল পাস করেছে। এ বিলে বলা হয়—সরাসরি নির্বাচিত আসনের সংখ্যা কমিয়ে বেইজিংপন্থী কমিটি কর্তৃক নিযুক্ত বিধায়ক সংখ্যা বাড়ানো হবে। কেবল 'দেশপ্রেমিকেরা' সরকারি পদে প্রার্থী হতে পারবে বলেই এ আইন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে।