‘বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন’ পরীক্ষা দিচ্ছেন চীনের প্রায় ১ কোটি ৩৪ লাখ পরীক্ষার্থী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৪, ১৬: ১৮

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। চীনের অর্থনীতির গতি মন্থর হওয়ার কারণে দেশটিতে তরুণদের স্নাতক করার সুযোগ হ্রাস পেয়েছে। রেকর্ড ১ কোটি ৩৪ লাখ শিক্ষার্থীর সামনে এখন এই ভীষণ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা—যার মাধ্যমে নির্ধারিত হতে পারে তাঁদের ভবিষ্যৎ। সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

ন্যাশনাল কলেজ এনট্রান্স পরীক্ষাটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বের বৃহত্তম এই একাডেমিক পরীক্ষা। তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে গাওকাওকে চীনা রাষ্ট্রীয় মিডিয়া ‘বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন’ পরীক্ষা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাঁদের ১২ বছরে যা কিছু শিখেছেন, তার সবই ঢেলে দিতে হয় বিষয়ভিত্তিক প্রতিটি দুই ঘণ্টার পরীক্ষায়।

এ বছর ১ কোটি ৩৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন পরীক্ষাটিতে। গত বছরের রেকর্ড ১ কোটি ২৯ লাখ পরীক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে গেছে এবারের পরীক্ষা।

একজন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় একবারই অংশ নিতে পারে। বেশ কঠিন এই পরীক্ষায় ভালো স্কোরই দেশটির শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রবেশের একমাত্র উপায়। পরীক্ষায় চীনা সাহিত্য, গণিত, ইংরেজি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, রাজনীতি ও ইতিহাসের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চীনের মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের আভাস পরীক্ষার্থীদের গাওকাওয়ে ভালো ফল করার পেছনেও চাপ সৃষ্টি করেছে। গতকাল শুক্রবার ছিল এ বছরের গাওকাওয়ের প্রথম দিন।

কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার স্থানগুলোর চারপাশে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, বেইজিংয়ে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় স্থান সামার প্যালেসের কাছাকাছি একটি স্কুলের চারপাশে যানবাহনের প্রবাহ মসৃণ এবং কমাতে সাহায্য করার জন্য ট্রাফিক পুলিশ সকাল ৬টার দিকেই রাস্তায় হাজির হয়েছিল।

সাংহাইতে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডগুলোতে এক সপ্তাহ আগে থেকেই পরীক্ষার্থীদের জন্য বুকিং গ্রহণ শুরু হয়েছে।

চায়নিজ সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলো ভরে গেছে উৎসাহ ও প্রেরণামূলক বার্তায়। এক্সে সবচেয়ে বেশি খোঁজা বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে গাওকাও।

অনেক চীনা সেলিব্রিটিসহ আন্তর্জাতিক তারকারাও পরীক্ষার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন ব্রিটিশ ফুটবল কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যাম।

ওয়েইবোতে শুভকামনা জানিয়ে বেকহ্যাম পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি শুধু শুভকামনা বলতে চাই সেসব শিক্ষার্থীকে যারা শিগগিরই পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে।’ এরপর তিনি ব্যবহার করেছেন চীনা শব্দগুচ্ছ ‘জিন ব্যাং তি মিং’—যার অর্থ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করা।

চীন-তাইওয়ান একীকরণ ঠেকাতে পারবে না কেউ, বছরের শেষ হুমকি দিলেন সি

চীনে সহপাঠীকে হত্যার দায়ে কিশোরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সন্তান নেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি ফোন করছে চীন সরকার

চীনের নতুন ডিজাইনের দুই স্টিলথ যুদ্ধবিমানের ছবি নিয়ে জল্পনা