অনলাইন ডেস্ক
কানাডীয় পপ তারকা ক্রিস উকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে চীনের একটি আদালত। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার বেইজিংয়ের একটি আদালত উ-এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে এই কারাদণ্ড দেন। বছর খানেক আগে উকে গ্রেপ্তার করে চীন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বেইজিংয়ের চাওইয়াং জেলার একটি আদালত তাদের অফিশিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে, তদন্তে দেখা গেছে—২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের ৩২ বছর বয়সী উ তিনজন নারীকে ধর্ষণ করেছেন। আদালত আরও জানিয়েছে, উ তাঁর বাড়িতে ওই তিন নারীর মাতাল হওয়ার সুযোগ নিয়ে তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।
কে পপ গ্রুপ এক্সো এর সাবেক সদস্য উ ২০১৪ সালে চীনে ফিরে আসেন নিজের একক ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে। তবে তাঁর সেই লক্ষ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর যৌনাচার। ২০২১ সালের তাঁকে আটক করে চীনা পুলিশ। তখন উ-এর বিরুদ্ধে ১৮ বছরের এক ছাত্রী প্রকাশ্যে তাঁর এবং অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গে—যাদের মধ্যে কয়েকজনের বয়স ১৮ বছরের কম—যৌন সম্পর্ক স্থাপনে প্ররোচিত করার অভিযোগ এনেছিলেন।
ওই সময়ে ওই ছাত্রী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, উ তাঁকে মদ খাওয়ার পর যৌন সম্পর্ক স্থাপনে প্রলুব্ধ করেছিলেন। সে সময় ওই ছাত্রীর বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। কেবল ধর্ষণ নয়, আদালত উ-এর বিরুদ্ধে লোকজন জড়ো করে সেখানে অবাধ যৌনাচারের অপরাধেও দোষী সাব্যস্ত করে।
এসব অপরাধ এবং কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে আদালত উ-কে কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ৬০ কোটি ইউয়ান জরিমানা আদায়েরও নির্দেশ দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, উ ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সাড়ে ৯ কোটি ইউয়ান কর ফাঁকি দিয়েছেন।