অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফর ‘এক চীন’ নীতির গুরুতর লঙ্ঘন। এই সফর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ‘রাজনৈতিক সম্পর্কের মূলে গুরুতর আঘাত’। বেইজিং তাইওয়ানে পেলোসির সফরের প্রতিবাদে এভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বিশ্লেষকের বলছেন, পেলোসির তাইপে সফর চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে। পাশাপাশি এই সফর এই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি সামরিক সংঘাতের আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দেশটির তাইওয়ান বিষয়ক অফিস এবং চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পেলোসির তাইওয়ানের প্রতিবাদে ১ হাজার ১৪৩ শব্দের এক বিশাল প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি চীনের বারবারের বিরোধিতা উপেক্ষা করে তাইওয়ানে সফরের এগিয়ে গেছেন। এই পদক্ষেপটি “এক-চীন” নীতি এবং চীন-মার্কিন যৌথ ঘোষণার তিনটি মূল শর্তের গুরুতর লঙ্ঘন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই সফর চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার মারাত্মক অবমাননা এবং এটি চীন-মার্কিন সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তিকে মারাত্মকভাবে ধ্বংস করেছে এবং একটি বার্তা প্রেরণ করেছে। এই সফর তাইওয়ানের “স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্নতাবাদী”—শক্তিকে মারাত্মকভাবে ভুল সংকেত।’
বিবৃতিতে চীন পেলোসির এই সফরকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘চীন দৃঢ়ভাবে এই সফরের বিরোধিতা এবং তীব্র নিন্দা করছে এবং একই সঙ্গে মার্কিন পক্ষের কাছে গুরুতর বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করছি।’
এদিকে, হংকংয়ে প্রধান নির্বাহী জন লি পেলোসির তাইওয়ান সফরের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর সরকার তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিষয়ে যেকোনো ধরনের ‘সমর্থনের’ বিরুদ্ধে অটল এবং ‘এক চীন’ নীতি নিয়ে একটি স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তাইপে বিমানবন্দরে পৌঁছান।