অনলাইন ডেস্ক
করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করার পর চীনে হঠাৎ করেই করোনা রোগের বিস্তার বেড়েছে। সরকারি হিসাবমতে, গত রোববার পর্যন্ত নতুন করে ২ হাজার ৯৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিধিনিষেধ শিথিলের পর অন্তত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল চীনের একজন শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, এই শীতে অন্তত তিনটি করোনার ঢেউ দেখবে চীন।
এমন পরিস্থিতিতে চীনের বিপুলসংখ্যক মানুষ আতঙ্কিত হয়ে জ্বরের ওষুধ, বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ ও ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ টিনজাত পিচ ফল কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। অনেক অনলাইন শপ ও সুপার শপে এসব পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বলেছে, টাইলেনল ও অ্যাডভিলের মতো জ্বর ও ঠান্ডার ওষুধের চাহিদা চীনে ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। অনেক মানুষ জ্বরের আশঙ্কায় এসব ওষুধ মজুত করছে। এ ছাড়া টিনজাত হলুদ রঙের পিচ ফল সংগ্রহ করছে শত শত মানুষ। কারণ এই টিনজাত খাবার চিনে অত্যন্ত পুষ্টিকর হিসেবে পরিচিত। অনেকেই এখন মনে করছে, করোনার সঙ্গে লড়াই করতে এই বিশেষ পুষ্টিকর খাবার সাহায্য করবে। ব্যাপক চাহিদার কারণে টিনজাত এই পণ্য এখন অনেক দোকানে পাওয়াই যাচ্ছে না।
হঠাৎ করে টিনজাত পিচের চাহিদা তুঙ্গে ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে চীনের অন্যমত বৃহৎ টিনজাত খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ডালিয়ান লিসান ফুড এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘টিনজাত হলুদ পিচের কোনো ঔষধি প্রভাব নেই। আতঙ্কিত হয়ে এই পণ্য মজুত করারও প্রয়োজন নেই। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।’
চীন সরকারের পক্ষ থেকেও জনগণকে চিকিৎসাসামগ্রী মজুত না করার অনুরোধ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সরকারি কর্মকর্তারা বেইজিং শহরের মানুষকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আতঙ্কিত হয়ে ওষুধ ও অন্যান্য পণ্য কিনবেন না। আপনাদের কারণে এসব প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা মেটাতে দোকানিদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনুগ্রহ করে প্রয়োজন ছাড়া ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত করবেন না।’