অনলাইন ডেস্ক
এশিয়ার স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত ছিল চীন। কাঠখড়ও পুড়িয়েছে বেশ। এই নির্বাচনই যুদ্ধ বা শান্তির নির্ধারক বলেও জানিয়ে দিয়েছিল দেশটি। আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন। নির্বাচনের শুরুতে ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) ও বিরোধী দল কেমটির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাসও দেখা দিয়েছিল।
তবে নির্বাচন শেষে একের পর এক কেন্দ্রের ফল ঘোষণা হতে থাকলে ফিকে হয়ে আসতে থাকে চীনের আশা। এই নির্বাচনে চীনের আশায় গুঁড়েবালি দিয়েছেন ডিপিপি প্রার্থী উইলিয়াম লাই। যাকে চীন আগেই ট্রাবলমেকার বা সমস্যা সৃষ্টিকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া অবধি, ৯০ শতাংশ কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এতে চীনবিরোধী উইলিয়াম লাই ৪০ লাখ ৬০ হাজার ভোট পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নিবাচিত হতে হলে তাঁকে নূন্যতম ৫০ লাখ ভোট পেতে হবে। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রায় ১০ লাখ ভোটে পিছিয়ে আছেন। বড় ব্যবধানেই লাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদি উইলিয়াম লাই শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধান ধরে রাখতে পারেন তাহলে ক্ষমতাসীন ডিপিপি তৃতীয়বারের মতো আবারও তাইওয়ানের ক্ষমতায় আসবে। যা তাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক বিজয় হবে।
নির্বাচনের আগে থেকেই উইলিয়াম লাইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছিল চীন। তার এই এগিয়ে থাকার বিষয়টি নির্দেশ করছে—চীনের চাপকে পাত্তা দেননি তাইওয়ানের সাধারণ ভোটাররা। তারা চীন বিরোধী উইলিয়াম লাইকেই ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর ছিলেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট ছাড়াও তাইওয়ানের সাধারণ মানুষ আজ এমপি নির্বাচনেও ভোট দিয়েছেন।
তাইওয়ান নিজেকে স্বায়ত্তশাসিত বললেও, চীন দাবি করে থাকে এটি তাদের অংশ। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে চীন বলেছিল এটি ‘শান্তি অথবা যুদ্ধের’ নির্বাচন।
চীন হুমকি দিয়েছে, তাইওয়ানকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে একীভূত করার চেষ্টা করা হবে। আর যদি এটি সম্ভব না হয়—তাহলে শক্তি প্রয়োগ করা হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং তাইওয়ানকে শান্তিপূর্ণভাবে একীভূত করার জন্য ২০২৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে একাধিকবার ইঙ্গিত দিয়েছেন।