অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা: করোনাভাইরাসের উৎস কোথায়? কোথা থেকে কীভাবে এই ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়াল, এ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কোনো প্রাণীর দেহ থেকে নাকি গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে করোনাভাইরাস তৈরি করা হয়েছে– এ প্রশ্নের মীমাংসা এখনো হয়নি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই এটিকে ‘চীনা ভাইরাস’ নামে আখ্যায়িত করেছেন।
এদিকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে করোনার উৎস খুঁজে বের করতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে এ নির্দেশনা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেনের এ ঘোষণার পরই যুক্তরাষ্ট্রের চীন দূতাবাস একটি বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘করোনার তদন্তকে রাজনীতিকীকরণের দৃষ্টিতে দেখা হলে এটি করোনার উৎস খোঁজার তদন্তকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কিছু রাজনৈতিক শক্তি এটিকে রাজনৈতিক কারসাজি ও দোষারোপের খেলা হিসেবে দেখছে। চীন মনে করে করোনার রাজনীতিকীকরণ শুধু এ বিষয়ক তদন্তকেই ক্ষতি করবে না, বরং মহামারিকে প্রতিহত করার যে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা সেটিকেও বাধাগ্রস্ত করবে।’
করোনার শুরু থেকেই চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির থাকলেও চীন বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে। চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চীনকে দোষারোপ করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম প্রাণঘাতী সার্স-কোভ-২ ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। যা বিশ্বে করোনাভাইরাস নামে পরিচিতি পায়। শনাক্ত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী করোনায় সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯৩ জন আর মারা গেছেন ৩৫ লাখ ১২ হাজার ৫০৯ জন।
সূত্র: রয়টার্স