Ajker Patrika
হোম > বিশ্ব > ইউরোপ

রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে ইউক্রেনের ৫১ ক্যাডেট নিহত

অনলাইন ডেস্ক

রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে ইউক্রেনের ৫১ ক্যাডেট নিহত

রাশিয়ার ছোড়া অন্তত দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় পোলতাভা শহরে আঘাত হেনেছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫১ জন নিহত এবং ২১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। আহত ও নিহতদের বেশির ভাগই ইউক্রেনের একটি সামরিক স্কুলের ক্যাডেট শিক্ষার্থী ছিল। মঙ্গলবার ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী একটি বিবৃতিতে সেনাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

সশস্ত্র বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কয়েকজন নিহত ও শতাধিক আহত। আমরা সাহসী ইউক্রেনীয়, আমাদের ভাই ও বোন, সৈন্যদের হারিয়েছি।’ এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রো লাজুটকিনও। 

এর আগে হামলার পরপরই এই ঘটনার জন্য ‘রুশ দুষ্কৃতকারীদের’ দায়ী করে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। তিনি জানান, পোলতাভা শহরে একটি সামরিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং একটি হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র দুটি আঘাত করে। এতে আহত ও নিহতদের মধ্যে অনেককে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে টেনে বের করা হয়েছে। 

বিবিসির কাছে এই হামলার ঘটনাকে ‘বর্বর’ আখ্যা দিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহরটিতে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগে সাইরেন বাজিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। বোমা আশ্রয়কেন্দ্র যাওয়ার পথেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখোমুখি হন অনেকে। 

তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে ২৫ জনকে বাঁচাতে সক্ষম হন। তাদের মধ্যে ১১ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ছিল। 

এদিকে রাশিয়ার যুদ্ধপন্থী একাধিক টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র দুটি ইউক্রেনের একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে এবং এই ঘটনায় যারা নিহত হয়েছে, সবাই সামরিক সদস্য। হামলায় ব্যবহৃত দুটি ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘ইস্কান্দার মিসাইল’ বলেও দাবি করা হয়েছে একাধিক প্রতিবেদনে। তবে এসব দাবির কোনোটিই শুরুতে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি। এ বিষয়ে বিবিসির ইউরোপ ডিজিটাল এডিটর পল কিরবি বলেছিলেন, ‘এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তবে পোলতোভায় নিহত ও আহতরা যদি প্রকৃতপক্ষে ক্যাডেট এবং সৈনিক হয়ে থাকে, তবে এটি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জন্য একটি ভয়ংকর ট্র্যাজেডি।’ 

পোলতাভা শহরটি রাশিয়ার সীমান্ত থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে হলেও একাধিকবার এই শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৩ লাখের বেশি জনসংখ্যার এই শহর সাম্প্রতিককালে পূর্ব দিকে রাশিয়ার আক্রমণের জের ধরে শরণার্থীদের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছিল। 

এর আগে গত গ্রীষ্মের শুরুতে পোলতোভার একটি বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করেছিল রাশিয়া। তবে সর্বশেষ হামলার ঘটনাটি শহরটিকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। 

কিয়েভ থেকে ৩০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত পোলতোভায় সামরিক যোগাযোগ ইনস্টিটিউট ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। হামলায় এই ইনস্টিটিউটের একটি ভবন আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকা পড়েছে বলে জানায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। হামলার ঘটনায় পোলতোভায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন শহরটির গভর্নর ফিলিপ প্রোনিন।

মস্কোয় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের

যুদ্ধ বন্ধে এবার রাশিয়াকে ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন বৈঠক শুরু

সৌদিতে আজ যুক্তরাষ্ট্র–ইউক্রেন বৈঠক, শান্তির জন্য রাশিয়াকে ছাড় দেওয়ার পক্ষে মার্কো রুবিও

‘পোলগ’ কী এমন রোগ, কেড়ে নিল লুক্সেমবার্গের রাজপুত্রকে

কার্গো ও তেল ট্যাংকারের সংঘর্ষ, যুক্তরাজ্যের উপকূলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা

মিথ্যাচারী রাজনীতিকদের পদচ্যুত করবে ওয়েলস

গ্যাস পাইপলাইনে হামাগুড়ি দিয়ে প্রবেশ, ইউক্রেনের তিন গ্রাম দখল রাশিয়ার

ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে বিগবেনের চূড়ায় যুবক, ১৬ ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার

বেকার হওয়া গবেষকদের স্বাগত জানাবে ফ্রান্স

ইউরোপকে পরমাণু শক্তিধর করতে চান জার্মানির হবু চ্যান্সেলর