রুশ মিসাইলে আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্ত, ক্ষমা চাইলেন পুতিন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২: ৫৭
গত বুধবার কাজাখস্তানের আক্তাউয়ের কাছাকাছি একটি স্থানে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। ছবি: এএফপি

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের কাছে রাশিয়ার আকাশসীমায় ঘটে যাওয়া ‘দুঃখজনক ঘটনার’ জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। আজ শনিবার ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ইউক্রেনের ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে ভুলবশত যাত্রীবাহী ওই উড়োজাহাজটি ভূপাতিত হয়।

গত বুধবার আজারবাইজান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি যাচ্ছিল। তবে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই কাজাখস্তানের আক্তাউয়ের কাছাকাছি একটি স্থানে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণের জন্য অনুরোধ করেছিল। এ ঘটনায় আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে থাকা ৬৭ জন যাত্রী ও ক্রুদের মধ্যে অন্তত ৩৮ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন ছিলেন রুশ নাগরিক।

দুর্ঘটনার পর কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করে আজারবাইজান। এই তদন্তকারী প্রতিনিধিদের মধ্যে চারজন কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে রাশিয়ার সামরিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থার হাত রয়েছে।

তবে শুরুতে এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেছিল রুশ কর্তৃপক্ষ। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, কাজাখস্তানে রাশিয়াগামী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে অনুমাননির্ভর তথ্য প্রচারের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।

আজ শনিবার ক্রেমলিনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পুতিন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট আলিয়েভকে ফোন করে ‘গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন’। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

আজারবাইজানের তদন্তে জানা গেছে, উড়োজাহাজের ফিউজিলাজে বাইরে থেকে আসা বস্তু বিদ্ধ হয়ে ছিল, যা বিমানটির ভেতরে ঢুকে ক্ষতি করেছে। ক্রেমলিন জানায়, এই ঘটনার জন্য বেসামরিক ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মূলত, ইউক্রেনের ড্রোন হামলার সময় থেকে রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয়। এই দুর্ঘটনার পর বোঝা যায়, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে শত শত মাইল দূরে থাকা সিভিল এভিয়েশনও রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষার ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

তবে এ ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। ২০১৪ সালে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ইউক্রেনের আকাশে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা ভূপাতিত হয়। ২০২০ সালে একটি ইউক্রেনীয় বিমান গুলি করে ভূপাতিত করে ইরানের বিপ্লবী গার্ড।