অনলাইন ডেস্ক
অস্ট্রিয়ান চিত্রশিল্পী গুস্তাভ ক্লিমটের একটি চিত্রকর্ম ১০০ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। ‘পোর্ট্রেট অব ফ্রাউলিন লিজার’ নামের ওই চিত্রকর্ম সর্বশেষ অস্ট্রিয়ার একটি অভিজাত ইহুদি পরিবারের সংগ্রহে ছিল। অবশেষে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এটি পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পোর্ট্রেট অব ফ্রাউলিন লিজার’ চিত্রকর্মটির বর্তমান মূল্য ৪ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫৮৭ কোটি টাকার বেশি। ১৯২৫ সালে শেষবার এটি জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল।
তবে সেই সময়ের পর চিত্রকর্মটির কী হয়েছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বর্তমান মালিকেরা দাবি করেছেন, ১৯৬০-এর দশক থেকেই এটি তাঁদের পরিবারের কাছে আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিত্রকর্মটি ভিয়েনার ধনী ও অভিজাত লিজার পরিবারের ছিল। সেই পরিবারেরই সদস্য ছিলেন ফ্রাউলিন নামের এক নারী। চিত্রকর্মটির বিষয়ে ইম কিনস্কি নিলাম হাউস মত দিয়েছে, এমন বিরল, শৈল্পিক তাৎপর্যপূর্ণ এবং মহামূল্যবান একটি পেইন্টিং গত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপের শিল্পবাজারে পাওয়া যায়নি।
বর্তমান মালিক এবং লিজার পরিবারের আইনি উত্তরসূরিদের পক্ষে আগামী এপ্রিলে চিত্রকর্মটি নিলামে তোলা হবে। এটির ওপর লিজার পরিবারের উত্তরসূরিদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে ‘ওয়াশিংটন নীতির’ অধীনে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত শিল্প তাদের বংশধরদের ফেরত দিতে আন্তর্জাতিক ওই চুক্তি হয়েছিল।
তবে একজন শিল্পবিষয়ক আইনজীবী অস্ট্রিয়ান গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, ‘পোর্ট্রেট অব ফ্রাউলিন লিজার’ যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লুট বা চুরি হয়েছিল, এখনো তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নিলামে তোলার আগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এটির প্রদর্শনী হবে। এর মধ্যে সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং হংকং বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ক্লিমটের চিত্রকর্মে নারীদেহ অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল। ১৮৬২ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় এই চিত্রশিল্পীর জন্ম। সাম্প্রতিক সময়ে ক্লিমটের ‘হিজ লেডি উইদ আ ফ্যান’ নামে আরেকটি চিত্রকর্ম ইউরোপের নিলামে ৮ কোটি ৫৩ লাখ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছিল, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।