রাশিয়ার প্রায় ১ হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার অর্থাৎ প্রায় ৫০০ বর্গমাইল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির সেনাপ্রধান ওলেকজান্দর সিরস্কি আজ মঙ্গলবার এই দাবি করেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সেনাপ্রধান দাবি করেছেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় ১ হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার অর্থাৎ প্রায় ৫০০ বর্গমাইল এলাকা কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ছাড়া, এই অঞ্চলের অন্তত ১০০ রুশ স্থাপনার দখলও নিয়েছেন তাঁরা। তিনি জানিয়েছেন, কুরস্কে বিগত কয়েক দিনের অভিযানে তাঁরা রাশিয়ার ৫৯৪ জন সেনাকে আটক করেছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে বিগত ৩ সপ্তাহ ধরে অভিযান চালাচ্ছে কিয়েভের সেনারা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় রুশ আক্রমণ শুরু করার পর থেকে এটিই রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনীয় সেনাদের সবচেয়ে গভীর এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অনুপ্রবেশ। মূলত ২০২২ সালে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে ইউক্রেন প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার ভূখণ্ডে এই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে, গত ১২ আগস্ট ইউক্রেনের সেনাপ্রধান দাবি করেছিলেন, তাঁর বাহিনী কুরস্কের অন্তত ১ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। সে সময় কুরস্কের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর আলেক্সি স্মিরনভ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের বাহিনী ওই অঞ্চলের ২৮টি গ্রাম এখন নিয়ন্ত্রণ করছে। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এখনো ২ হাজার রুশ নাগরিক রয়ে গেছে। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো অজানা। সে সময় কুরস্ক অঞ্চল থেকে প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয় রুশ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, গতকাল সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেন, রাশিয়া তাঁর দেশে অন্তত দুই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালিয়েছে। তাঁর দাবি অনুসারে, ইউরোপীয় দেশগুলোর সীমান্তসংলগ্ন ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে এই হামলা চালায় রাশিয়া। এ সময় তিনি, রাশিয়ার ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নামানোর জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সহায়তা চান।