অনলাইন ডেস্ক
মার্বেল দিয়ে তৈরি একটি নারীর ভাস্কর্য। ধারণা করা হচ্ছে, এটি কম করে হলেও ২ হাজার বছরের পুরোনো। গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থেসালোনিকিতে একটি ময়লার পাত্রে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।
বৃহস্পতিবার সিএনএন জানিয়েছে, থেসালোনিকির নিওই এপিভেটস শহরতলিতে স্থানীয় এক বাসিন্দা সবার আগে ৩১ ইঞ্চি লম্বা মাথাবিহীন ভাস্কর্যটি আবিষ্কার করেন। পরে তিনি এটিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। এ অবস্থায় ভাস্কর্যটির গুরুত্ব মূল্যায়নের জন্য কর্তৃপক্ষ প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক মূল্যায়নের পর বিশেষজ্ঞরা নির্ধারণ করেছেন, ভাস্কর্যটি হেলেনিস্টিক যুগের এবং প্রায় ৩২০ থেকে ৩০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে এটি ছিল। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের বিজয়ের পর সেখানে শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে।
মূর্তিটি নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। পরে এটিকে সংরক্ষণ ও অধ্যয়নের জন্য স্থানীয় পুরাতত্ত্ব কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, ময়লার পাত্রের মধ্যে মূর্তিটি কে ফেলে রেখে গেছে, তা খুঁজে বের করতে পুলিশ এখন তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হলেও পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোনো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রাচীন ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত দেশ গ্রিসে এভাবে প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ আবিষ্কারের ঘটনা প্রায় সময়ই ঘটে। বিশেষ করে ভবন নির্মাণ এবং খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করতে গিয়ে এসব খুঁজে পায় সাধারণ মানুষ।
এর আগে গত ডিসেম্বরে এথেন্সের কাছে প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইন স্থাপনকারী শ্রমিকেরা একটি গর্তের মধ্যে সোজাভাবে পুঁতে রাখা হার্মিসের একটি রোমান যুগের মূর্তি আবিষ্কার করেছিলেন।
গত নভেম্বর থেকে থেসালোনিকি শহর কর্তৃপক্ষ তাদের কয়েক দশক ধরে চলা মেট্রো সিস্টেম নির্মাণকাজের সময় পাওয়া পুরাকীর্তিগুলোর একটি সংগ্রহ উন্মোচন করেছে। এর ফলে রোমান, গ্রিক, বাইজেন্টাইন ও অটোমান যুগের কয়েক হাজার নিদর্শন সহ মূল আবিষ্কারগুলো এখন সাবওয়ে স্টেশনগুলোতে প্রদর্শিত হচ্ছে।