লিবিয়ার একটি শিবিরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আটকে রেখে নির্যাতনের দায়ে ইতালির সিসিলি রাজ্যের একটি আদালত দুই বাংলাদেশিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত আরব নিউজের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পালেরমোর প্রসিকিউটর গেরি ফেররার বরাত দিয়ে আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ তদন্তের সমন্বয় করেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে কয়েকজন দুই বাংলাদেশি পাজরুল সোহেল এবং হারুন মোহাম্মদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তাঁদের বন্দী করে কয়েক মাস ধরে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তাঁরা।
এই দুই বাংলাদেশি আরও অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশীর সঙ্গে ২০২০ সালের ২৮ মে সিসিলিতে পৌঁছান। অন্যদের মতো তাঁরাও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকায় ছিলেন।
লিবিয়ার আশ্রয় শিবিরে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা তাঁদের শনাক্ত করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ৬ জুলাই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে কয়েকজন তাঁদের ফোনে ধারণ করা নির্যাতনের ভিডিও সরকারি কৌঁসুলিদের দিয়েছিলেন।
এ ছাড়া তদন্তকারীরা ফেসবুকে আসামিদের একে ৪৭ রাইফেল হাতে ধরা অবস্থার ছবিও খুঁজে পেয়েছেন। অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বলেছেন, এসব অস্ত্রের বাঁট দিয়ে তাঁদের আঘাত করা হতো।
সিসিলির শহর পালেরমোর আর্চবিশপ কোরাদো লোরেফিস সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই রায় সেই দিনই আসে যেদিন পোপ ফ্রান্সিস লিবিয়ার “কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প”-এর নিন্দা জানিয়েছিলেন। যারা দেশ ছেড়ে পালাতে চান তাঁরা মানব পাচারকারীদের হাতে কতটা ভোগান্তির শিকার হন তা উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন পোপ। আরব নিউজের কাছে তিনি পরিস্থিতিকে ‘অমানবিক এবং অসহনীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন।