অনলাইন ডেস্ক
ভূমধ্যসাগরে স্পেন ও আলজেরিয়ার মাঝামাঝি অঞ্চলে বিস্ফোরণের পর রাশিয়ার কার্গো জাহাজ উর্সা মেজর ডুবে গেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই খবরটি নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, ডুবে যাওয়া জাহাজটির ১৪ জন ক্রুকে উদ্ধার করে স্পেনের কার্টাজেনা বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
রুশ সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, উর্সা মেজর ১২ দিন আগে সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে যাত্রা শুরু করেছিল।
মালিক পক্ষ দাবি করেছে, জাহাজটি রাশিয়ার সুদূর প্রাচ্যের ভ্লাদিভস্তক বন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছিল এবং এর মধ্যে দুটি ক্রেন ছিল। ক্রেন দুটির একেকটির ওজন ৩৮০ টন।
তবে রুশ কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও জাহাজটির সঠিক গন্তব্য কোথায় ছিল তা এখনো স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।
স্পেনের উদ্ধারকারী সংস্থা সালভামেন্তো মারিতিমো জানিয়েছে, জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পর একটি লাইফবোট থেকে ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে একটি রুশ যুদ্ধজাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রমের দায়িত্ব নেয়।
উর্সা মেজর ও স্পার্টা নামে আরেকটি রুশ জাহাজ সম্প্রতি ইংলিশ চ্যানেলের মধ্য দিয়ে যাত্রা করেছিল এবং উভয়কে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছিল, স্পার্টা নামের জাহাজটি সিরিয়ার তারতুস বন্দরে সামরিক সরঞ্জাম সরানোর জন্য যাত্রা করেছিল।
ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণের ফলে জাহাজটি ডুবে গেছে জানানো হলেও এই বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সোমবার জাহাজটি মারাত্মকভাবে একদিকে কাত হয়ে যাচ্ছিল। পরে দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে জাহাজটি ডুবে যায়।
উর্সা মেজর ২০০৯ সালে নির্মিত হয়েছিল। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের পর জাহাজটি নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসে। কারণ জাহাজটির মালিক কোম্পানি রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর জন্য কার্গো পরিবহনের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপিত করা হয়।
রাশিয়া এখন সিরিয়ার নতুন শাসকদের সঙ্গে তাদের দুটি সামরিক ঘাঁটির ভবিষ্যৎ নিয়ে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে আলোচনা করছে।
জাহাজ ডুবির পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন রুশ সামরিক সরবরাহ চেইন এবং নিষেধাজ্ঞার পরও তাদের পরিবহন প্রক্রিয়ার ওপর।