চলতি বছর রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের একজন মুঙ্গি জি. বাভেন্দি। এই শাস্ত্রে অসামান্য অবদান রাখায় তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলেও তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাঁর প্রথম পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন। তাঁর ক্লাসে সবচেয়ে কম নম্বরটি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথম পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পরই থেমে যাননি তিনি। পাড়ি দিয়েছেন দীর্ঘ পথ, জিতেছেন নোবেল।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭০-এর দশকে হার্ভার্ডে পড়তে যান মুঙ্গি জি. বাভেন্দি। স্কুলজীবনে বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে অসাধারণ ব্যুৎপত্তি ছিল তাঁর। ভালো ফলাফলের জন্য খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের প্রথম রসায়ন পরীক্ষায় তিনি ফেল করেন।
এ বিষয়ে ৬২ বছর বয়সী তিউনিসিয়া বংশোদ্ভূত ফরাসি এই বিজ্ঞানী বুধবার সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি সাধারণত খুব বেশি একটা পড়াশোনা করতাম না পরীক্ষার জন্য।’ এ সময় তিনি জানান, তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রের বিশাল আকার দেখে এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের উপস্থিতির কারণে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন।
বাভেন্দি বলেন, ‘প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর প্রথম প্রশ্নের দিকে তাকিয়ে দেখি আমি সেটি পারি না, পরে দ্বিতীয় প্রশ্নের দিকেও তাকিয়ে দেখি একই অবস্থা।’ তিনি জানান, সেই পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি মাত্র ২০ নম্বর পেয়েছিলেন, যা ছিল পুরো ক্লাসের মধ্যে সবচেয়ে কম নম্বর।
পরীক্ষার ফলাফল দেখার পর বাভেন্দি ভেবেছিলেন তাঁর শিক্ষাজীবন বোধ হয় শেষ হতে যাচ্ছে। বিষয়টি স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, হায় খোদা, এই বোধ হয় আমার শেষ! আমি এখানে আসলে কী করতে এসেছি?’ অবশ্য পরে রসায়নের প্রতি তাঁর আলাদা টানের কারণেই বাভেন্দি পরীক্ষার বিষয়টি দ্রুত সমাধান করে ফেলেছিলেন।
এ বিষয়ে বাভেন্দি বলেন, ‘পরে আমি খুব দ্রুতই বের করে ফেলতে সক্ষম হয়েছিলাম যে, কীভাবে আসলে পড়তে হয়, যা আমি আগে জানতাম না। এরপর প্রতিটি পরীক্ষায় আমি ১০০ পেয়েছি।’