অনলাইন ডেস্ক
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। স্থানীয় সময় শুক্রবার ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের বিষয়ে সর্বশেষ ছাড়পত্রে অনুমোদন দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের বিষয়ে সব আইনি জটিলতার অবসান হলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুপ্তচরবৃত্তিসহ মোট ১৮টি অভিযোগে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিচার করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ উইকিলিকসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও কূটনৈতিক তথ্য ফাঁস করে বিপুল পরিমাণ মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছেন।
তবে অ্যাসাঞ্জের সমর্থকেরা বলেন, অ্যাসাঞ্জ একজন বিদ্যমান ব্যবস্থাবিরোধী নেতা। তাঁদের দাবি, অ্যাসাঞ্জকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, কারণ তিনি ইরাক ও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কুকীর্তির দলিল ফাঁস করে দিয়েছিলেন। তাঁর বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সাংবাদিকতা ও বাক্স্বাধীনতার ওপর হামলা।
এদিকে অ্যাসাঞ্জের স্ত্রী স্টেলা বলেছেন, অ্যাসাঞ্জ ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
এর আগে গত এপ্রিলে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের বিষয়ে আদেশ দেন যুক্তরাজ্যের আদালত। সেই আদেশের পর অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের মাত্র একটি ধাপ বাকি ছিল। বুধবার লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই আদেশ দেন। সেই আদেশের পর কেবল ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন বাকি ছিল।
বর্তমানে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বেলমার্শ কারাগারে রয়েছেন। অ্যাসাঞ্জ ২০১৯ সাল থেকেই বেলমার্শ কারাগারে বন্দী। এর আগে অ্যাসাঞ্জ ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় সুইডিশ আদালতের মুখোমুখি হওয়া এড়াতে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসের ভেতরে দীর্ঘ সাত বছর কাটান।