Ajker Patrika
হোম > বিশ্ব > ইউরোপ

রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনা হতে দেয়নি যুক্তরাষ্ট্রই, কারণ জানালেন সাবেক মার্কিন কূটনীতিক 

অনলাইন ডেস্ক

রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনা হতে দেয়নি যুক্তরাষ্ট্রই, কারণ জানালেন সাবেক মার্কিন কূটনীতিক 

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে ইউক্রেনের আলোচনার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কারণেই হতে পারেনি। মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে কিয়েভকে বাধা দিয়েছে ওয়াশিংটন। কারণ, ওয়াশিংটন মনে করত, ইউক্রেন এমন কোনো অবস্থানে নেই, যেখান থেকে দেশটি রাশিয়ার সঙ্গে প্রয়োজনীয় দর-কষাকষি করতে পারবে।

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড এ কথা জানিয়েছেন। ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড মার্কিন নীতিনির্ধারকদের একজন, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট সমাধানের পক্ষে ছিলেন।

গতকাল শনিবার প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, ‘আসুন, আমরা একটি প্রমাণিত বিষয় দিয়ে শুরু করি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এরই মধ্যে তাঁর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন, ইউক্রেনকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে। তিনি চেয়েছিলেন তাদের (ইউক্রেনের) যেন কোনো সার্বভৌমত্ব না থাকে, স্বাধীনতা, আপন সত্তা এবং কোনো গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ না থাকে।’ 

তবে ঠিক কী কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তাঁর লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ বা যুক্তি তিনি হাজির করেননি। তার পরও তিনি বলেন, ‘একটি ইউরোপীয় মনোভাবসম্পন্ন ইউক্রেন তিনি (পুতিন) যে মডেলে রাশিয়া পরিচালনা করেন, সেটির জন্য হুমকি। কারণ, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে তাঁর যে বৃহৎ আঞ্চলিক আকাঙ্ক্ষা আছে, তার জন্য মৌলিক গাঠনিক উপাদান হলো এমন একটি ইউক্রেন।’

সাক্ষাৎকারে সাবেক এই মার্কিন কূটনীতিক দাবি করেন, কিয়েভের পক্ষে এখনো এই সংঘাতে জয়লাভ করা সম্ভব। তবে এ সময় তাঁর কাছে, ইউক্রেন রাশিয়ার কাছ থেকে তার হারানো ভূখণ্ড উদ্ধার করতে পারবে কি না, জানতে চাওয়া হলে তিনি সরাসরি এর কোনো উত্তর দেননি। 

ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, ‘তারা (ইউক্রেন) অবশ্যই এমন একটি জায়গায় পৌঁছাতে পারে, যেখানে দেশটি যথেষ্ট শক্তিশালী হবে বলেই আমি বিশ্বাস করি এবং যেখানে পুতিন শক্তিমত্তার বিবেচনায় ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় যেতে কোণঠাসা বোধ করবেন।’ 

মার্কিন এই কূটনীতিবিদ বলেন, ‘এটি ইউক্রেনের জনগণের ওপরই নির্ভর করবে যে তাদের আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা কী এবং কেমন হওয়া উচিত। ক্রিমিয়ার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক না কেন, এটাকে পুনরায় এমনভাবে সামরিকীকরণ করা যাবে না যে, এটি ইউক্রেনের হৃৎপিণ্ডের ওপর একটি ছুরি হিসেবে প্রতিভাত হয়।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাবেক এই কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইউক্রেনকে চাপ দেয়নি। কারণ, ওয়াশিংটন মনে করত, কিয়েভ আলোচনা থেকে কিছু অর্জন করার মতো শক্তিশালী অবস্থানে ছিল না। 

নুল্যান্ড বলেন, ‘তারা (ইউক্রেন) তখন যথেষ্ট শক্তিশালী অবস্থানে ছিল না। তারা এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী অবস্থানে নেই। পুতিন তখনো যে চুক্তি চেয়েছেন এবং এখনো যে চুক্তি চান তা হলো, “সালিস মানি, তালগাছ আমার”-এর মতো এবং এটি টেকসই নয়।’

রাজনীতিকদের ওপর নজরদারি করতে গিয়ে নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে ব্রিটিশ পুলিশ

ইহুদিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন জেলেনস্কি: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইউরোপে রাশিয়ার নর্ড স্ট্রিম-২ পাইপলাইন চালু করতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতিয়ালি

যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমাবে ইউরোপ, ব্যয় বাড়াবে প্রতিরক্ষায়

ওয়াশিংটন-কিয়েভ বিচ্ছেদে নয়া স্বপ্ন মস্কোর

ইউক্রেনে এক মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফ্রান্স-ব্রিটেনের

ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চায় ইউরোপ

ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বাগ্‌বিতণ্ডায় গর্বিত ইউক্রেনের মানুষ

ইউক্রেন নিয়ে জরুরি আলোচনা, লন্ডনে জড়ো হচ্ছেন ইউরোপের নেতারা

ইউক্রেনকে সামরিক-আর্থিক কোনো সহায়তাই দেবে না স্লোভাকিয়া