বরখাস্ত হয়েছেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন জেমস ক্লেভারলি। এক বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার পর ঋষি সুনাকের মন্ত্রিসভায় জেমস ক্লেভারলি পেলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। ক্ষমতা গ্রহণের ১৩ মাস পর এটিই ঋষি সুনাকের মন্ত্রিসভায় বড় রদবদলের ঘটনা।
লন্ডনের রাস্তায় ফিলিস্তিনিপন্থী মিছিলে পুলিশের আচরণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আজ সোমবার দিনের শুরুতে সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে বরখাস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছে, সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে পদত্যাগ করতে বলেছেন ঋষি সুনাক। সুয়েলা ব্রেভারম্যান তা মেনে নিয়েছেন।
গত সপ্তাহে দ্য টাইমসে বিস্ফোরক এক নিবন্ধ লেখেন সুয়েলা ব্রেভারম্যান। সেখানে তিনি লেখেন, লন্ডনের রাজপথে জাতীয়তাবাদী এবং অতি ডানপন্থীদের চেয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অপেক্ষাকৃত নরম আচরণ করেছে পুলিশ। তাঁর নিবন্ধটি ঋষি সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টি ভালোভাবে নেয়নি। তাঁর মন্তব্যের নিন্দা করেছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এবং সংসদ সদস্যরাও।
প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কাছে এরপর সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই। ব্রেভারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বিভাজন সৃষ্টি করার অভিযোগ করেছে বিরোধী লেবার পার্টি। কনজারভেটিভ পার্টির একজন জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য তখন বিবিসিকে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ভট আচরণ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যেও প্রতিফলিত হচ্ছে। তাঁকে পদে বহাল রাখা প্রধানমন্ত্রীর জন্যও ক্ষতিকর।’
গত শনিবার লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী লাখ লাখ বিক্ষোভকারী পথে নামে। তাঁদের হাত থেকে স্মৃতিসৌধ রক্ষার উদ্দেশ্যে পাল্টা বিক্ষোভ করতে রাজপথে অবস্থান নেয় কট্টর ডানপন্থীরা। ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী এবং ডানপন্থী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। প্রায় ১৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ—যার মধ্যে বেশির ভাগই ছিল ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের থেকে স্মৃতিসৌধ রক্ষার উদ্দেশ্যে রাজপথে নামা ডানপন্থী আন্দোলনকারী। পুলিশের এই আচরণের সমালোচনাই করেছিলেন সুয়েলা ব্রেভারম্যান।