তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ভূমিকম্পের পর সরকারের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, উদ্ধারকাজে ধীর গতি ও ত্রাণ বিতরণে সমস্যা ছিল বলে স্বীকার করেছেন। আজ বুধবার দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণাঞ্চল পরিদর্শনের পর এ কথা স্বীকার করেন এরদোয়ান।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর এরদোয়ান বলেন, ‘সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকর্মীদের দেরিতে পৌঁছানো নিয়ে আমি হতাশ। তবে এখন উদ্ধারকর্মীরা স্বাভাবিকভাবে কাজ করছেন। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে কেউ গৃহহীন থাকবে না।’
এদিকে ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ তুরস্কের মানুষজন শৈত্যপ্রবাহের মধ্য আশ্রয় এবং খাবারের সন্ধান করেছিলেন। ধ্বংসস্তূপের আশপাশেই অপেক্ষা করেছিলেন যেখানে পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরা চাপা পড়েছেন। প্রতিবেশী দেশ সিরিয়াতেও একই রকম অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেখানে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি ও নিহতের সংখ্যা বেড়েছে।
ইতিমধ্য দুই দেশের মৃত্যুর সংখ্যা ১২ হাজারে ছুঁই ছুঁই। উভয় দেশের মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, অনেক শহরে শতাধিক ভবন ধসে পড়েছে যেখানে মানুষেরা ঘুমিয়ে ছিল। ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ তুরস্ক এবং সিরিয়ার পরিবারগুলো গাড়িতে বা রাস্তায় দ্বিতীয় রাত কাটিয়েছেন। ১৯৯৯ সালের পর তুরস্কের সবচেয়ে মারাত্মক দুর্যোগ এটি।
এদিকে এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে অনেকেই অভিযোগ করছিলেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে সরকারের আগ্রহের কমতি রয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোকে উপেক্ষা করা হয়েছে।