অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রাতে চালানো এসব হামলায় দেশটির অধিকাংশ জ্বালানি অবকাঠামো প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। যার ফলে দেশজুড়ে অসংখ্য মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী হেরমান হালুশচেনকো এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘শত্রুরা তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। আবারও পুরো ইউক্রেনের জ্বালানি খাত ব্যাপক হামলার শিকার।’ তবে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। হালুশচেনকো সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানী কিয়েভের রাস্তাগুলো অনেকটাই ফাঁকা ছিল, কারণ ইউক্রেনের বিমানবাহিনী দেশব্যাপী ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ মিসাইল হামলার সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
দেশটির জ্বালানি গ্রিড পরিচালনাকারী সংস্থা উক্রেনারগো জানিয়েছে, জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা দেশজুড়ে জরুরিভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইউক্রেনে ইতিমধ্যেই তুষারপাত শুরু হয়েছে, তবে এখনো তীব্র শীত আসেনি। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, রাশিয়া ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করে শীতের মাসগুলোতে আরও আক্রমণ চালাতে পারে। এ ধরনের হামলা শীতকালীন পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইউক্রেনকে ৫০ কোটি ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা দেবে। এই প্যাকেজটি সরাসরি মার্কিন সামরিক সরঞ্জামের ভান্ডার থেকে সংগ্রহ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন ২০২৫ সালেও ইউক্রেনকে শক্তিশালী অবস্থানে রাখতে তাদের অস্ত্র সরবরাহ দ্রুত বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
রাশিয়ার এই হামলার আগে ইউক্রেন দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার একটি শহরে হামলার দাবি করেছিল। ইউক্রেন দাবি করে, তাদের লক্ষ্যবস্তুতে যথাযথ আঘাত হানা হয়েছে। তবে এই হামলায় তারা কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে তা উল্লেখ করেনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এই নতুন উত্তেজনা তীব্র শীতের সময় দেশটির জনগণের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলবে। অন্যদিকে জো বাইডেন চলে গেলে মার্কিন সামরিক সহায়তার ব্যাপারটিও কমে যেতে পারে। কারণ নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে, তিনি ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।