ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক লেপার্ড ট্যাংক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনো যুদ্ধবিমান দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ। জার্মানির একটি স্থানীয় সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন তার মিত্র দেশগুলোর কাছে বারবার যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাঁদের যুদ্ধবিমান প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা যুদ্ধবিমান সরবরাহের ব্যাপারে আগামী বৃহস্পতিবার ‘খুব সতর্কতার সঙ্গে’ কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা করবে।
জার্মানির সংবাদপত্র ট্যাগেসপিগেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওলাফ শুলজ বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য জার্মানির তৈরি লেপার্ড-২ ট্যাংক সরবরাহ করা, যুদ্ধবিমান নয়। আমরা শুধু ট্যাংক পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
শুলজ আরও বলেছেন, ‘ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়, এ ধরনের যুদ্ধ ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক, তা আমরা কখনোই চাইব না।’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত কথা হয় বলেও জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের পরস্পরের সঙ্গে আরও বেশি কথা বলা দরকার। একই সঙ্গে তিনি স্মরণ করে দিয়েছেন যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। রাশিয়া যদি সেনা প্রত্যাহার করে, তবেই কেবল এ পরিস্থিতির সমাধান হবে।’
মিত্রদের কয়েক সপ্তাহের চাপের পর গত বুধবার জার্মানি ইউক্রেনে ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জার্মানির প্রতিশ্রুতির পর যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, তারা ইউক্রেনকে এম-১ আব্রামস ট্যাংক পাঠাবে।
ইউক্রেনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি মেলনিক একটি ‘যুদ্ধবিমান জোট’ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিমানের জোট ইউক্রেনকে যেন মার্কিন এফ-১৬, এফ-৩৫, ইউরোফাইটার, টর্নোডোস, ফ্রেঞ্চ রাফারেলস ও সুইডিশ গ্রিপেন যুদ্ধবিমান পাঠায়।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তাঁর নিয়মিত ভিডিও বক্তৃতায় বলেছেন, তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দরকার। এটি ১৮৫ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে পারে।
তবে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র এখনো রাজি হয়নি।