অনলাইন ডেস্ক
বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী ফারখাদ আখমাদভ অবশেষে সাড়ে ১৮ কোটি ডলারে (সাড়ে ১৩ কোটি পাউন্ড) স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করলেন। ব্রিটেনের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদ।
আখমাদভের একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেছেন, তাতিয়ানা আখমাদভা নগদ অর্থ ও শিল্পকর্মের মালিকানা নিয়ে বিচ্ছেদ নিষ্পত্তির প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। এই অর্থমূল্য ২০১৬ সালে আদালত যা দিতে বলেছিলেন তার এক-তৃতীয়াংশের কাছাকাছি। এই সম্মতি দীর্ঘ দিনের তিক্ত আইনি লড়াইয়ের অবসান ঘটাল। এই বিচ্ছেদ চুক্তির অন্যতম বাধা ছিল ১১৫ মিটার (৩৮০ ফুট) দৈর্ঘ্য, নয় ডেকের বিলাসবহুল সুপার ইয়ট লুনার মালিকানা ভাগাভাগি। এখন অবশ্য ইয়টটির মালিকানা ফারখাদ আখমাদভের কাছেই থাকছে। তাতিয়ানা পেতে যাচ্ছেন ১৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
তবে তাতিয়ানার মুখপাত্র এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে লন্ডনের একজন বিচারপতি তাতিয়ানাকে প্রায় ৪৫ কোটি পাউন্ড দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর থেকে সম্পদ ভাগাভাগির লড়াইটি বিচার বিভাগের কমপক্ষে নয়টি দপ্তরে ঘুরেছে। ব্রিটিশ আদালতের এ মামলায় রায় দেওয়ার এখতিয়ার আছে কি–না সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তাতিয়ানার মামলাটি পরিচালনা করেছে মোকদ্দমা ফিন্যান্স গ্রুপ বারফোর্ড ক্যাপিটাল লিমিটেড। তারা এর জন্য ১০ কোটি ৩০ লাখ ডলার নেবে বলে জানা গেছে।
১৯৮৯ সালে ফারখাদ–তাতিয়ানা জুটির প্রথম সাক্ষাৎ হয়। চার বছর পরে বিয়ে করে লন্ডনে চলে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। তাতিয়ানা লন্ডনে তাঁদের দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। ২০১৪ সালের শেষদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
মামলা চলাকালীন সবার দৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে লুনা ইয়ট। ফারখাদের মালিকানাধীন একক বৃহত্তম সম্পদ এটি। ২০১৮ সাল থেকে দুবাই বন্দরে নোঙ্গর করা আছে এই ইয়ট।