তুরস্কে ১৪ মে এর নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী বর্তমান রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বা নেশন অ্যালায়েন্সের প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলু কেউই রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ভোট পাননি। ফলে দেশটিতে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটাভুটি হবে। এ নির্বাচনে জনগণ সরাসরি তাঁদের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন। যেখানে এরদোয়ান কামালের বিরুদ্ধে লড়বেন।
দেশটির নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দিয়েছে। তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন বোর্ডের (ওয়াইএসকে) প্রধান আহমেত ইয়েনার জানান, ১৫ মে বিকেল পর্যন্ত দেশে এবং বিদেশে প্রদত্ত সমস্ত প্রায় ভোট গণনা করা হয়েছে।
ইয়েনার মিডিয়াকে বলেন, ‘ফলাফল অনুযায়ী এরদোয়ান বা কামাল কেউই রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ভোট পাননি। ফলে আমাদের বোর্ড আইন অনুসারে ২৮ মে দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
ইয়েনার বলেন, এরদোগান ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট এবং কিলিচদারোগলু ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। কিন্তু উভয়ের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার জন্য ৫০ শতাংশের চেয়ে একটি ভোট হলেও বেশি পেতে হবে। যা তাঁরা পাননি। তৃতীয় প্রার্থী আতা জোটের সিনান ওগান ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে হোমল্যান্ড পার্টির চেয়ারম্যান মুহাররেম ইনসে ০ দশমিক ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। যদিও তিনি নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ইয়েনার আরও জানান, এরদোগান এবং কিলিচদারোগলু ২৮ মে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই নির্বাচনে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন তিনিই হবেন পরবর্তী তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
এদিকে ১৫ মের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। ওয়াইএসকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ মে এর নির্বাচনী প্রচারের সময় এরই মধ্য শুরু হয়ে গেছে। ইয়েনার বলেন, আজ থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়েছে। ২৮ মে এর নির্বাচনে বিদেশে বসবাসকারী তুর্কিরা তুরস্কের কূটনৈতিক মিশন এবং সীমান্ত গেটে ভোট দিতে পারবে। যারা বিদেশে ভোট দিতে চান তারা ২০ থেকে ২৪ মে এর মধ্যে তাদের ভোট দিতে পারবেন। তবে দেশের ভোট কেন্দ্রগুলোতে ২৮ মে এর বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে।