অনলাইন ডেস্ক
সাইবার হামলার শিকার হয়েছে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট। রুশ হ্যাকাররা এই হামলা করেছে বলে জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ। হামলার কারণে রোববার সকাল থেকে প্রায় দেড়ঘণ্টা ব্রিটিশ রাজপরিবারের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায়নি। সেটি পুনরুদ্ধার হলে দুপুরের পর ওয়েবসাইটটি আবার ধীরে ধীরে কাজ করা শুরু করে।
রুশ হ্যাকার গ্রুপ কিলনেট এই সাইবার হামলার দায় স্বীকার করেছে। বার্তা আদানপ্রদানের প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে ডিওএস হামলার কথা জানান কিলনেট গ্রুপের নেতা কিলমিল্ক। ক্রেমলিনপন্থী এই হ্যাকার গ্রুপ ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া দেশ বিশেষ করে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোয় ডিওএস নামক সাইবার হামলার জন্য পরিচিত। হ্যাকিং আর ডিওএস হামলা এক নয়। ডিওএস হামলার ফলে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে কয়েক ঘণ্টা বা দিনের জন্য কেউ প্রবেশ করতে পারে না। তবে ওয়েবসাইটে বড় কোনো ক্ষতিও হয় না এই হামলায়।
ব্রিটিশ রাজ পরিবারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে সাইবার হামলার ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি বাকিংহাম প্যালেস।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ডের গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানের নেটওয়ার্ক ‘ফাইভ আইজ’ একটি যৌথ সতর্কবার্তায় জানায়, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোয় সাইবার আক্রমণ চালানো হতে পারে। সেখানেই ওঠে আসে কিলনেটের নাম। ফাইভ আইজের সতর্কবার্তায় বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রুশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সাইবার হামলার ঝুঁকি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের বিমানবন্দরে ডিডিওএস নামক সাইবার হামলার কথা এরই মধ্যে স্বীকার করেছে কিলনেট।
এ বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের উপ-প্রধানমন্ত্রী অলিভার ডাউডেন ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছিলেন যে, রুশ সাইবার গ্রুপগুলো যুক্তরাজ্যে হামলা করতে প্রস্তুত। তিনি বেলফাস্টে সাইবারইউকে সম্মেলনে বলেছিলেন যে, ‘সাইবার গ্রুপগুলো যতটা না আর্থিকভাবে, তার চেয়েও বেশি মতাদর্শগতভাবে অনুপ্রাণিত। তারা এই বছর ব্রিটেনকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে শুরু করেছে।’
আন্তর্জাতিক সাইবার সন্ত্রাসীরা মে মাসে ব্রিটেনের রাজার রাজ্যাভিষেকের সময় লাইভ সম্প্রচারগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে অনুষ্ঠানটি মুছে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল দ্য টেলিগ্রাফ। সেই অনুষ্ঠান সম্প্রচারে সাইবার হামলা চালানোর ব্যাপারে রুশ এবং ইরানের হ্যাকাররা সবচেয়ে বেশি সক্ষম বলে তখন সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।