গ্রিস ও তুরস্কের সীমান্তবর্তী একটি পরিত্যক্ত দ্বীপ থেকে ৩৮ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ২২ জন পুরুষ, ৯ জন নারী এবং বাকি ৭ জন শিশু। ৯ জন নারীর মধ্যে একজন গর্ভবতী। গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকেই ওই ৩৮ জন এভরোস নদীর মোহনায় অবস্থিত ওই দ্বীপটিতে অবস্থান করছিলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার তাদের ওই অবস্থানে শনাক্ত করা হয়। পরে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে গ্রিসের মূল ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে, এরই মধ্যে জনমানবহীন দ্বীপটিতে থাকাকালীন দলটির এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে গ্রিক পুলিশ এখনো এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানায়নি।
গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতরা বর্তমানে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রয়েছেন। শরণার্থীদের মধ্য থেকে গর্ভবতী নারীকে পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার অভিবাসন মন্ত্রী নতিন মিতারাচি এভরস দ্বীপটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকার ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রস এবং রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে শিশুটির মরদেহ উদ্ধারে এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় তাকে দাফন করা হবে।
প্রথম দিকে দ্বীপটি অবস্থান এবং মালিকানা নিয়ে তুরস্ক এবং গ্রিক সরকারের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল কারা সাহায্যে এগিয়ে আসবে। তবে শেষ পর্যন্ত গ্রিক সরকারই এগিয়ে আসে। গ্রিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তাঁরা ওই দ্বীপে শনাক্তকৃতদের সিরিয়ার নাগরিক বলে জানতে পেরেছেন।
উদ্ধারকৃত শরণার্থী দলের সদস্য বাইদা নামে এক নারী বলেন, ‘আমরা তুরস্ক এবং গ্রিস কর্তৃপক্ষের কাছে ফুটবল খেলার মতো হয়ে ছিলাম। কেউই আমাদের নিতে চায়নি, কেউই আমাদের কথা শুনতে চায়নি। কেউই আমাদের সাহায্য করতে চায়নি।’