চরম নারীবিদ্বেষকে প্রথমবারের মতো সন্ত্রাসবাদ হিসেবে বিবেচনার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াইভেত্তে কুপার সন্ত্রাসবিরোধী নীতি পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন, যা বর্তমান আইনে থাকা ফাঁক-ফোকর খুঁজে বের করবে এবং বিভিন্ন মতাদর্শ পর্যবেক্ষণ করবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো অনলাইনে নারীবিদ্বেষ ছড়ানোর বিষয়টি।
দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বজুড়ে নারী-কিশোরীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াইভেত্তে কুপার সন্ত্রাসবিরোধী নীতি পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে উগ্রপন্থী চরমপন্থাকে যেভাবে দেখা হয়, নারীবিদ্বেষকেও ঠিক একইভাবে দেখা হবে।
এমনকি স্কুলের যেসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারীবিদ্বেষ দেখা যাবে, তাঁদের সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী প্রোগ্রামে পাঠানোর জন্য শিক্ষকদের জন্য বাধ্যতামূলক নির্দেশনা দেওয়ার বিধান থাকছে এই আইনে।
যেসব শিক্ষার্থীকে সরকারের এই প্রোগ্রামে পাঠানো হবে, তাঁদের মধ্যে উগ্রবাদিতার কোনো লক্ষণ আছে কি না, সেটিও খুঁজে বের করবে স্থানীয় পুলিশ। তাদের কাজ হবে উগ্রবাদিতা থেকে এসব শিক্ষার্থীকে সরিয়ে আনা।
দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, কথিত নারীবিদ্বেষী ইনফ্লুয়েন্সার অ্যান্ড্রু টেট অনলাইনে কিশোরদের নারীবিদ্বেষ শেখাচ্ছেন। যেমনটা সন্ত্রাসবাদীরা তাঁদের অনুসারীদের ক্ষেত্রে করে। আর অ্যান্ড্রু টেটের এমন কর্মকাণ্ডের কারণেই ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
গত মাসে যুক্তরাজ্যের পুলিশপ্রধানের কাউন্সিল নারী ও কিশোরীদের ওপর সহিংসতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে নারীবিদ্বেষকে জাতীয় বিষয় হিসেবে অভিহিত করা হয়।