অনলাইন ডেস্ক
নরওয়ের যুবরাজের ছেলে মারিয়াস বোর্গ হোইবিকে (২৭) ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা গেছে।
মারিয়াস বোর্গ হোইবিকে গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর আইনজীবী অয়ভিন্ড ব্রাটরিয়েন নরওয়ের সরকারি গণমাধ্যম এনআরকে-কে জানান, বোর্গ হোইবি ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুবরাজ হাকন ও মেট-মারিট ২০০১ সালে বিয়ে করেন। এই দম্পতির ছেলে মারিয়াস বোর্গ হোইবি।
নরওয়ের পুলিশ জানিয়েছে, মারিয়াস বোর্গ হোইবিকে ফৌজদারি বিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এমন একজনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন, যিনি অচেতন বা অন্য কোনো কারণে নিজেকে রক্ষা করতে অক্ষম ছিলেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তিনি যে ধরনের যৌন আচরণ করেছেন যেখানে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক ছিল না। ওই ভুক্তভোগী তরুণী অভিযোগ করেন, তিনি নিজেকে রক্ষা করবেন এমন কোন পরিস্থিতি সেখানে ছিল না।
২০ বছর বয়সী ভুক্তভোগী তরুণীর আইনজীবী হেগে সোলোমন সিএনএনকে জানান, বোর্গ হোইবির সঙ্গে আগে কখনোই তাঁর দেখা হয়নি। ঘটনার দিনই তাঁদের প্রথম দেখা হয়। এর আগে তাঁরা কেউ কাউকে চিনতেন না।
অন্য এক প্রতিবেদনে এনআরকে জানিয়েছে, বোর্গ হোইবির বিরুদ্ধে আরও বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আছে। অভিযোগকারীদের মধ্যে চারজন নারী ও একজন পুরুষ। এদের মধ্যে তিনজন নারীর সঙ্গে হোইবির সম্পর্ক ছিল। তাঁরা সবাই হোইবির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন।
এর আগে গত আগস্টে নরওয়ে পুলিশ বোর্গ হোইবিকে অসলোর একটি ভবন থেকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল। যেখানে অভিযোগকারী নারীদের মধ্যে একজন ছিলেন। সোমবার রাতে যখন হোইবিকে গ্রেপ্তার করা হয় তখনও ওই নারী তাঁর গাড়িতে ছিলেন।