আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভাগনারের প্রয়াত প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোঝিনের বিধ্বস্ত বিমানে এই মুহূর্তে তদন্ত পরিচালনা করবে না রাশিয়া। সহজ কথায় বললে, কোনো আন্তর্জাতিক পক্ষকে বিধ্বস্ত বিমানটিতে তদন্ত করার সুযোগ দেবে না। মস্কো ব্রাজিলের বিমান দুর্ঘটনাবিষয়ক তদন্ত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছে। দুর্ঘটনার সময় প্রিগোঝিনকে বহনকারী বিমানটির নির্মাতা ব্রাজিলীয় প্রতিষ্ঠান এমব্রেয়ার। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর ভাগনারের প্রধান ও তাঁর দুই সহযোগীকে বহনকারী এমব্রেয়ার লিগ্যাসি ৬০০ মডেলের বিমানটি মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে যাচ্ছিল। পথে রাশিয়ার তোভর অঞ্চলের কুঝেনকিনো গ্রামের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে থাকা ১০ জন যাত্রীই নিহত হন।
ব্রাজিলের বিমান দুর্ঘটনা তদন্তবিষয়ক সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড প্রিভেনশন অব অ্যারোনটিক্যাল অ্যাক্সিডেন্ট (সিইএনআইপিএ) বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনে প্রিগোঝিনের বিমানটিতে তদন্ত চালাতে চায়। এ ক্ষেত্রে তাঁরা রাশিয়ার তদন্তকারী দলের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে যোগ দিতে চায়।
তবে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সিইএনআইপিএকে তদন্তের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যদিও তারা বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানকে তদন্ত পরিচালনার অনুমতি দিতে বাধ্য নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত।
মস্কোর এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করায় এই সন্দেহ আরও জোরালো হলো যে, প্রিগোঝিনের মৃত্যুতে ক্রেমলিনের হাত রয়েছে। পশ্চিমারা শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে, এই দুর্ঘটনার পেছনে পুতিনই দায়ী। তবে ক্রেমলিন পশ্চিমাদের এই অভিযোগকে নির্জলা মিথ্যা বলে আখ্যা দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে।