এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই মেয়ের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র। আজ বুধবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে আরোপ করা নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছে পুতিনের দুই মেয়ে মারিয়া ভরোন্তোসভা ও ক্যাটেরিনা তিখোনোভার নাম।
ইউক্রেনের দেশটির বুচা শহরে রুশ সেনারা যুদ্ধাপরাধ করেছে—এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার ওপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ভ্লাদিমির পুতিনের দুই মেয়ে ছাড়াও রয়েছে রাশিয়ার শীর্ষ সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের নাম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ভ্লাদিমির পুতিনের নিজের ঘরের লোকও ঢুকে পড়েছে। এবার তালিকায় তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক দুই মেয়ের পাশাপাশি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের স্ত্রী, মেয়েসহ রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাও রয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদভ এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনের নামও এর আওতায় এসেছে।
এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, এসব ব্যক্তিবর্গ রুশ জনগণের অর্থে নিজেদের বিত্তশালী করেছেন। এদের কেউ কেউ ইউক্রেন যুদ্ধে সমর্থন দিচ্ছেন।
পুতিনের দুই মেয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ হিসেবে মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি পুতিনের অনেক সম্পদ পরিবারের সদস্যদের নামের আড়ালে গোপন রাখা হয়েছে। এই কারণে আমরা তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের বুচা শহরের রাস্তায় পড়ে থাকা মরদেহের ছবি ও ধ্বংসযজ্ঞের কিছু ছবির পরিপ্রেক্ষিতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও রাশিয়া এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, এগুলো কিয়েভের কর্মকর্তাদের বানানো।