অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে জয়ী হয়েই ‘গভীর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ’-এর মুখে স্থিতিশীলতা ও ঐক্যের ডাক দিলেন ঋষি সুনাক। সোমবার (২৪ অক্টোবর) জয় নিশ্চিতের পর প্রথম ভাষণেই সুনাক বলেন, নিজ দল ও যুক্তরাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ রাখাই তাঁর ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’।
বিবিসির খবরে জানা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মরডান্ট দলের প্রয়োজনীয় সমর্থন পেতে ব্যর্থ হওয়ায় টোরি নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন ৪২ বছর বয়সী সুনাক। প্রথম ব্রিটিশ এশিয়ান এবং গত ২০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বাকিংহাম প্যালেসে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজা চার্লস তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন। এর আগে মন্ত্রিসভার সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠক শেষে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে বক্তব্য রাখবেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ ত্যাগ করেন লিজ ট্রাস। পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ও দলের নেতা হওয়ার দৌড়ে ছিলেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডান্ট ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বরিস জনসন নিজে থেকেই সরে দাঁড়ান প্রতিযোগিতা থেকে। আর ১০০ কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতার পূর্ণ সমর্থন না পাওয়ায় মূল লড়াইয়ে অংশ নিতে পারেননি পেনি মরডান্ট। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঋষি সুনাক জয় পান।
এর মধ্য দিয়ে ২০১৯ সালে শেষ সাধারণ নির্বাচনে জয় পাওয়া কনজারভেটিভ পার্টির তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নেতা। যদিও বিরোধী লেবার পার্টিসহ কয়েকটি দল সাধারণ নির্বাচন দাবি করছে।
এদিকে এরই মধ্যে অভিনন্দন পেতে শুরু করেছেন ঋষি সুনাক। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জানিয়েছেন, রাজা চার্লস ঋষি সুনাককে আনুষ্ঠানিক নিয়োগ দেওয়ার পর তাঁকে অভিনন্দন জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।