ইউক্রেনের রুশ-নিয়ন্ত্রিত শহর দোনেৎস্কের একটি বাজারে ভয়াবহ বোমা হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৫ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদন খবরটি দিয়েছে।
গতকাল রোববার মস্কো নিযুক্ত দোনেৎস্কের নেতা ডেনিস পুশিলিন এই হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের কামান থেকে ছোড়া গোলা আঘাত হেনেছে ব্যস্ত বাজারে। রাশিয়া নিযুক্ত দোনেৎস্কের মেয়র আলেক্সি কুলেমজিনও একই দাবি করেন।
তবে ওই অঞ্চলে কর্মরত ইউক্রেন সেনাবাহিনীর তাভরিয়া ইউনিট সামাজিক প্ল্যাটফর্মে এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এই হামলা চালায়নি। তাভরিয়া ইউনিট বলেছে, ‘দোনেৎস্ক ইউক্রেনের অংশ। ইউক্রেনীয়দের জীবন কেড়ে নেওয়ার জবাব রুশদের দিতে হবে।’
ডেনিস পুশিলিন দোনেৎস্কে আজ সোমবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান, গুরুতর আহত ১৮ জনকে হাসপাতালকে ভর্তি করা হয়েছে। আরও ৭ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
ঘটনাস্থলে রয়টার্সের ছবি এবং ভিডিওতে কাঁদতে থাকা মানুষদের দেখা গেছে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ স্বজন হারিয়েছেন। শহরের একটি বাজারের কাছে রক্তে ভেজা তুষারের ওপর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া গতরাতের ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলার ব্যাপারে নিজেদের দায় স্বীকার করেননি। তবে বক্তব্যে তিনি বলেন, রাশিয়া এক দিনে ইউক্রেনের নয়টি অঞ্চলের শতাধিক শহর ও গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলে যে হামলা হয়েছে তা অত্যন্ত গুরুতর।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে ইউক্রেনের ‘বর্বর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছে। পশ্চিমাদের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় মস্কো। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়া বেসামরিক জনগণের ওপর এই হামলার স্পষ্ট নিন্দা জানাচ্ছে।
রাশিয়ান-সমর্থিত বাহিনী ২০১৪ সালে দোনেৎস্ক শহর ও পূর্ব ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করে। তখন থেকেই এলাকাটি আংশিকভাবে মস্কোর নিয়ন্ত্রণে। ফ্রন্টলাইন থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দোনেৎস্ক।