অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্যে বরিস জনসনের সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্রেক্সিট মন্ত্রী লর্ড ফ্রস্ট। এক সপ্তাহ আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। দা মেল অন সানডের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পদত্যাগপত্রে ফ্রস্ট লিখেছেন, ব্রেক্সিট এখন নিরাপদ। তবে দেশ বর্তমানে যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ নিয়েও তাঁর কিছুটা দ্বিমত রয়েছে। চিঠিতে পদত্যাগকে 'অবিলম্বে কার্যকর' করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ফ্রস্ট। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্যে 'কম-করের' অর্থনীতি দেখার ইচ্ছা আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, লর্ড ফ্রস্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সরে আসার চুক্তি এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রোটোকল নিয়ে যুক্তরাজ্যের আলোচনার নেতৃত্ব দেন। ইইউ থেকে সরে আসার পরে এবার তাঁর প্রত্যাশা একটি স্বল্প নিয়ন্ত্রিত, কম ট্যাক্স ভুক্ত, উদ্যোক্তাবান্ধব, আধুনিক বিজ্ঞান ও জনবান্ধব অর্থনীতি। তবে জুলাই মাস থেকে চলমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে তিনি আশাবাদী হতে পারেননি। দ্রুতই যুক্তরাজ্য সঠিক পথে ফিরে আসবে এবং কোনো ধরনের জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থায় প্রলুব্ধ হবে না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গ্রেট ব্রিটেন থেকে উত্তর আয়ারল্যান্ডে পণ্য পাঠানোসহ কিছু বাণিজ্য প্রোটোকলেরও সমালোচনা করেন ফ্রস্ট। এ প্রসঙ্গে ডিইউপি নেতা স্যার জেফরি ডোনাল্ডসন বলেছেন, ফ্রস্টের পদত্যাগের ফলে উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রোটোকলের প্রতি যুক্তরাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখন জরুরিভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ—প্রোটোকল, নাকি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা।
লর্ড ফ্রস্টের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, এই সরকার এবং এই দেশকে ফ্রস্ট যে ঐতিহাসিক সেবা দিয়েছেন, তাতে তাঁর অত্যন্ত গর্বিত হওয়া উচিত।