বুলগেরিয়ার পাঁচ নাগরিকের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে যুক্তরাজ্য। আগামী মঙ্গলবার তাঁদের ওয়েস্ট মিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। ২০২০ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শত্রুপক্ষের হয়ে তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই পাঁচজন হলেন ওরলিন রৌসেভ, বিজের জামবাজোভ, ক্যাটরিন ইভানোভা, ইভান স্টোয়ানোভ ও ভানিয়া গাবেরোভা। গতকাল শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মূলত রাশিয়ান সিকিউরিটি সার্ভিসের হয়ে কোনো লক্ষ্যবস্তুর ওপর নজর রাখছিলেন। পরে সেই তথ্য রাশিয়ার কাছে সরবরাহ করতেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তাঁদের কাছে থেকে কয়েকটি দেশের ভুয়া পাসপোর্ট ও বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।
রৌসেভ, জামবাজোভ ও ইভানোভার (৩১) লন্ডন ও নরফোকের মালিকানাধীন ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্য, বুলগেরিয়া, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, গ্রিস, চেক রিপাবলিকের ভুয়া পাসপোর্টসহ কাগজপত্র জব্দ করেন। কিছু কাগজপত্রে রৌসেভ ও জামবাজোভের ছবি আছে। অভিযোগে বলা হচ্ছে, রৌসেভ এসব জালিয়াতির মূল হোতা।
এই চক্রের বিরুদ্ধে মন্টিনিগ্রোতেও নজরদারি অভিযান চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এ কাজে সাংবাদিকের ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়; যাতে ইয়ানোভার ছবি আছে। রৌসেভ, জামবাজোভ ও ইভানোভা কয়েক বছর ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন রকমের পেশায় যুক্ত হন এবং শহরতলিতে থাকতেন।
রাশিয়ার সঙ্গে রৌসেভের ব্যবসায়িক যোগাযোগের ইতিহাস আছে। তিনি ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যে আসেন। তাঁর সবশেষ ঠিকানা গ্রেট ইয়ামাউথের একটি গেস্টহাউস। তিনি সেখানে নিজেকে বুলগেরিয়ান জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একসময়কার পরামর্শক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জামবাজোভ নিজেকে একটি হাসপাতালের গাড়িচালক এবং ইভানোভা তাঁর লিংকডইন প্রোফাইলে নিজেকে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট পরিচয় দিয়েছেন। জামবাজোভ ও ইভানোভা স্বামী-স্ত্রী।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে গাবেরোভা পুরস্কারজয়ী বিউটিশিয়ান। ‘প্রিটি উইমেন’ নামে তাঁর একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে এবং তিনি আইল্যাশ প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন।