অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবীর অন্যতম ধনাঢ্য নারী ছিলেন অস্ট্রিয়ার হেইডি হোর্টেন। তাঁর সংগ্রহে ছিল বিলাসবহুল ও বহুমূল্য কয়েকশত রত্নালংকার। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে নিলামে ওঠে প্রয়াত হোর্টেনের সংগ্রহে থাকা যাবতীয় গয়নার। নিলামে যার আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ২০ কোটি ডলার। ব্যক্তিগত সম্পত্তির নিলামে যা বিশ্ব রেকর্ড।
হেইডি যেমন ধনকুবের ব্যবসায়ী ছিলেন, তেমনই ছিলেন শিল্প সংগ্রাহক। সোনা, হিরা, মণি, মুক্তার তৈরি গয়না সংগ্রহে রাখতেন তিনি। ২০২০ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন দাবি করেছিল, হেইডি হোর্টেনের সম্পত্তির মোট মূল্য ৩০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রয়াত প্রথম স্বামী হেলমুট হোর্টেনের থেকেই ১০০ কোটি ডলারের মালিক হয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালে ৮১ বছর বয়সে মৃত্যু হয় হেইডির।
সম্প্রতি হেইডি হোর্টেনের সংগ্রহ থেকে বেশ কিছু বহুমূল্য গয়না নিলামে তোলা হয়। যার মধ্যে রয়েছে সোনা ও হিরার তৈরি নেকলেস, কানের দুল ব্রেসলেট, টিয়ারা এবং অন্য গয়না। সব মিলিয়ে নিলামে তোলা হয়েছে ১৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার মূল্যের অলংকার, যা টাকার অঙ্কে ১ হাজার ৬১৫ কোটিরও বেশি।
এর আগে ২০১১ সালে হলিউড অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেইলরের রেকর্ড মূল্যের গয়না নিলামে উঠেছিল। যার মোট অর্থমূল্য ছিল ১১ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
এদিকে হেইডি হোর্টেনের রত্নালংকার নিয়ে আছে বিতর্কও। সমালোচকদের মতে, স্বামী হেলমুট হোর্টেনের মৃত্যুর পর বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন হেইডি। এই হেলমুট আসলে নাৎসি অত্যাচারে শহর ছেড়ে পালানো ইহুদিদের সম্পত্তি কিনেছিলেন বেশ কম দামে। মূলত ইহুদিদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে ধনকুবের হয়ে ওঠেন হোর্টেন।