যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে গত বছরের আগস্টে রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে পড়েছিল ইউক্রেনের সেনারা। হঠাৎ হামলা চালিয়ে তারা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। তবে আজ বৃহস্পতিবার কুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ সুদঝা শহর পুনরুদ্ধার করেছে রুশ বাহিনী।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় সুদঝাসহ আরও দুটি এলাকা ‘স্বাধীন’ করেছে তারা। কুরস্কের মালায়া লোকনিয়া গ্রামে রুশ সেনাদের উপস্থিতির ছবিও প্রকাশ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাশিয়ার এই দাবির পর ইউক্রেনের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও পরে কুরস্কে যুদ্ধবন্দী হিসেবে আটক নিজেদের পাঁচ সেনাকে নিরস্ত্র অবস্থায় হত্যার অভিযোগ এনেছে দেশটি।
ইউক্রেনের মানবাধিকার কমিশনার দিমিত্রো লুবিনেটস টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, ‘রাশিয়ার হাতে আটক নিরস্ত্র ইউক্রেনীয় সেনাদের হত্যার আরেকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।’ তবে এই হত্যাকাণ্ড কোথায় ঘটেছে, সে সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেননি তিনি।
লুবিনেটস আরও বলেন, ‘ভিডিওতে অন্তত পাঁচজন বন্দী সেনাকে মৃত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। এটি আবারও প্রমাণ করে, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করছে।’
২০২২ সালের শুরুর দিকে ইউক্রেনে হামলার পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বহু ইউক্রেনীয় বন্দীকে হত্যার অভিযোগ এনেছে কিয়েভ। সর্বশেষ ঘটনার কথা উল্লেখ করে লুবিনেটস জাতিসংঘ ও রেড ক্রসকে তদন্ত করার আহ্বান জানার।
এদিকে গতকাল বুধবার কুরস্ক অঞ্চল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তখন তাঁকে সামরিক বাহিনীর পোশাকে দেখা যায়। তিনি তখন আশা প্রকাশ করেন, কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ থাকা এলাকাগুলো ‘স্বাধীন করবে’ রুশ বাহিনী।
তিন বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের আগে কুরস্কের সুদঝা শহরে প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসবাস ছিল। যুদ্ধ চলাকালে ইউক্রেনের দখল করা রাশিয়ার ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় শহর ছিল এটি। যুদ্ধবিরতির নিয়ে আলোচনার মধ্যে এই শহরটির হারিয়ে ইউক্রেন কিছুটা চাপে থাকবে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।