অভিবাসন সংকট মোকাবিলায় ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণে থাকা দ্বীপ মায়োতে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করেছে ফরাসি সরকার। আজ রোববার ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘোষণা দিয়েছেন। ভারত সাগরে অবস্থিত এ দ্বীপটি ফ্রান্সের দরিদ্রতম অঞ্চল যা সামাজিক অস্থিতিশীলতা ও অভিবাসন সংকটে জর্জরিত।
দুটি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত মায়োতে ১৯৭৩ সালের গণভোটে ফ্রান্সের অংশ হিসেবে থাকার পক্ষে রায় দেন অধিবাসীরা। পার্শ্ববর্তী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বীপপুঞ্জ কমোরোসের বাসিন্দারা স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, দারিদ্র্য ও দুর্নীতি জর্জরিত কমোরোস থেকে প্রতি বছর উন্নত জীবনের সন্ধানে হাজার হাজার মানুষ মায়োতেতে আসে।
সম্প্রতি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের এ ঢল গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে। মায়োতের স্থানীয়দের অভিযোগ, দ্বীপটিতে অপরাধ ও দারিদ্র্যের হার বেড়ে গেছে। তিন সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অধিকারকর্মীরা নিরাপত্তা ও অভিবাসন সংকট সমাধানের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আজ রোববার দ্বীপটিতে সফরকালে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটি মৌলিক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। ফরাসি মা–বাবার সন্তান না হলে ফরাসি নাগরিক হওয়া আর সম্ভব হবে না।’
তিনি বলেন, এই পদক্ষেপের জন্য সংবিধানের পরিবর্তন প্রয়োজন হবে এবং এটি বাস্তবায়িত হলে মায়োতে দ্বীপপুঞ্জটির প্রতি অভিবাসন প্রত্যাশীদের ‘আকর্ষণ’ কমে যাবে।
ফ্রান্সের অভিবাসন সংকট প্রায়ই রাজনৈতিক সংকটে রূপ নেয়। গত ডিসেম্বরে ডানপন্থীদের চাপে ফরাসি সরকার বেশ কঠোর অভিবাসন বিল পাস করে। গত জানুয়ারিতে ফ্রান্সের শীর্ষ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিল ডানপন্থী ও উগ্র ডানপন্থীদের জোরাজুরিতে বিতর্কিত এ বিল প্রত্যাখ্যান করে।