অনলাইন ডেস্ক
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বোমা হামলায় গত ১৩ নভেম্বর ছয়জন নিহত ও কমপক্ষে ৮০ জন আহত হন। এ ঘটনার জেরে তুরস্কের সেনাবাহিনী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল ও ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে আজ রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
ভোরে টুইট বার্তায় তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘হিসেবের সময় এসে গেছে। যেসব বিশ্বাসঘাতক হামলা চালিয়েছিল তাদের জবাব দিতে হবে।’
ওই টুইট বার্তায় সামরিক বিমানের রাত্রিকালীন অপারেশনে উড্ডয়নের ছবিও শেয়ার করা হয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বরের হামলা নিয়ে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এবং সহযোগী সিরিয়ান কুর্দি গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে আসছিল আঙ্কারা। তবে ওই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে কুর্দি যোদ্ধারা।
এদিকে অপর এক টুইট বার্তায় তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা’ ধ্বংস করতে ‘নির্ভুল আঘাত’ করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ‘জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ থেকে উদ্ভূত আমাদের আত্মরক্ষার অধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পেন্স কিলিক বিমান অভিযানটি ইরাক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে পরিচালিত হয়েছে। জায়গাগুলো সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আমাদের দেশে হামলার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।’
তুরস্কের হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি সিরিয়া ও ইরাক।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে হামলার ঘটনা ঘটে। সেসময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, এটি একটি ‘বিশ্বাসঘাতক আক্রমণ’। জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে।