ঢাকা : ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের প্রয়াত স্বামী ডিউক অব এডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তাকে উইন্ডসর ক্যাসেলে অবস্থিত সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে সমাহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া সকলেই মাস্ক পরা ছিলেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনা প্রেক্ষাপটে সামাজিক দূরত্ব মেনেই শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে। রানি এলিজাবেথ একা একটি চেয়ারে বসে ছিলেন। জাতীয়ভাবে পুরো দেশে পালন করা হয়েছে এক মিনিটের নীরবতা।
একটি সবুজ রঙের ল্যান্ডরোভারে ডিউক এডিনবার্গের মরদেহ বহন করা হয়। ডিউক এডিনবার্গ নিজেই গাড়িটির ওপরের সামনের অংশটিকে তার কফিন বহন করার মতো করে নতুনভাবে নকশা করেছিলেন। একবার রানিকে মজা করে তিনি বলেছিলেন, 'আমাকে একটা ল্যান্ড রোভার গাড়ির পেছনে ঢুকিয়ে উইন্ডসরের দিকে চালিয়ে নিয়ে যেও।'
কফিনের পেছনে পেছনে হেঁটে সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে আসেন ডিউকের সন্তানেরা। প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস অ্যানি ছিলেন সামনের সারিতে। এর ঠিক পেছনেই ছিলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড। তৃতীয় সারিতে ছিলেন প্রিন্স ফিলিপের দুই নাতি প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি।
শেষকৃত্যের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ৭৩০ জন নিরাপত্তাকর্মী। তবে করোনার কারণে শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া অতিথির সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০ জন।
উইন্ডসরের ধর্মযাজক ডিউক অব এডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘’তার দীর্ঘ জীবন আমাদের জন্য ছিল আশীর্বাদ।‘’
উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ডিউক অব এডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপ মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। রাজভবন উইন্ডসর ক্যাসেলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ডিউক অব এডিনবার্গ ১৯৪৭ সালে প্রিন্সেস এলিজাবেথকে বিয়ে করেন। বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটেনের রানি হন। আর তখন থেকে দীর্ঘ ৬৯ বছর রানির পাশেই ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে প্রিন্স ফিলিপই কোনো রাজা বা রানির দীর্ঘদিনের জীবনসঙ্গী ছিলেন।